নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অগ্রসর হয়ে ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি করা ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে বাধা নেই।
আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহসীন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমরা সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছি। মানুষের বাড়ি ফিরতে আর কোনও বাধা নেই।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষকে বাড়ি ফিরতে সহায়তা করতে স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় প্রশাসন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব মোহসীন বলেন, আমরা যে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পেয়েছি সেখানে কিছু কাঁচা ঘর ভেঙেছে বলে জেনেছি। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে জানাতে পারব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৮৮টি। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ মানুষ আশ্রয় নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।