আগামী ৮ জানুয়ারি (পরশু) থেকে তাপমাত্রা আবারও কমতে পারে। হতে পারে ৪ দিনের শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি হবে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ। যেসব এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ বেশি থাকবে সেখানে তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। অন্যদিকে যেসব এলাকায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ থাকবে সেখানে তাপমাত্রা থাকবে ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রোববার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা যুগান্তরকে বলেন, মৃদু থেকে মাঝারি এই শৈত্যপ্রবাহে যশোর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, রংপুর, শ্রীমঙ্গল এসব এলাকায় শীতের প্রকোপ বেশি থাকতে পারে। তেঁতুলিয়ায় তীব্র শীতের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের মতো এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকবে।
এই আবহাওয়াবিদ যুগান্তরকে বলেন, রোববার থেকে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে রোদ উঠেছে। এটি আরও কয়েকদিন থাকবে। এখন কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে কম বেশি কুয়াশা থাকবে।
শাহ আমানতে নামতে পারেনি দুই ফ্লাইট : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে ইউএস বাংলার দুটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সোয়া ৯টার মধ্যে এ দুটি ফ্লাইট অবতরণ করার কথা ছিল। বিমানবন্দরের আকাশ ঝাপসা থাকায় ফ্লাইট দুটি ডাইভার্ট হয়ে একটি কলকাতা ও অপরটি ঢাকা অবতরণ করেছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, দুবাই থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় বিএস৩৫০ ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সেটি ডাইভার্ট হয়ে কলকাতায় চলে যায়। এছাড়া সোয়া ৯টায় অবতরণ করার কথা ছিল মাস্কাট থেকে আসা বিএস৩২২ ফ্লাইটটি। সেটিও ডাইভার্ট হয়ে ঢাকায় চলে যায়। বেলা বাড়ার পর কুয়াশা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
চুয়াডাঙ্গায় দেখা নেই সূর্যের : চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারপাশ। ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রোববার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। সূর্যের দেখা না মেলায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।