জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নোয়াই নদীর উপর আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি দুই বছর ধরে ব্যবহার অনুপযোগী থাকায় তা সচল করতে একই প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সোয়া কোটি টাকার (১ কোটি ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯০ টাকা) নতুন করে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যোগাযোগের স্বার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর নীচে দিয়ে খেয়া নয়তো পানির মধ্যে পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীকে।
এরআগে নোয়াই নদী পাড়ের লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যাদেশ পেয়ে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৪৩ টাকা ব্যয়ে ৭২.৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল। যা ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট শেষ করার কথা থাকলেও দু’পাশের সংযোগ সড়ক তৈরি না করেই প্রায় ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিল উঠিয়ে সকল প্রকার কাজ বন্ধ করে দেয় মেসার্স দাস ট্রেডার্স নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দাস ট্রেডার্স সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় এতদিনেও তা কোনো কাজেই আসেনি ১৫ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের। আবার সেতুটি সচল করতে সংযোগ সড়ক নির্মাণে সম্প্রতি প্রায় সোয়া কোটি টাকার কার্যাদেশ পেয়েছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এর জন্য মূল সড়ক থেকে বাইরে গিয়ে ত্রুটিপূর্ণ নকশায় সেতু নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ না করেই সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনার কারণেই সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির অবসান হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বর্ষাকালে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কখনো কখনো খেয়া নৌকা ডুবে ঘটে দুর্ঘটনা। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
অ্যাপ্রোচ অংশের জন্য ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই ভোগান্তির অবসান হবে বলে দাবি করেছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মো. শাহিনুর আলম।
ব্যয় বাড়ার কথা স্বীকার করলেও ঠিকাদার নিয়োগে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আগের প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়া কাকতালীয় বলেও মন্তব্য করেছেন এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম আজম।
সকল জটিলতার অবসান ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সেতুটি দ্রুত সচল করার দাবি স্থানীয়দের। সূত্র : চ্যানেল আই
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।