জুমবাংলা ডেস্ক: ২১ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে খালাস ও অপর তিনজন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দু্ই আসামি হলেন- জহিরুল হক ভূইয়া ওরফে জহির মেম্বার ও আব্দুল আহাদ। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. ফারুক, মো. খোকন, মো. ডালিম, মো. রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিন।
খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন- সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, সাহাব উদ্দিন, মো. হালিম, ইয়াকুব আলী, মো. আমির হোসেন, মো. আবুল কালাম, মো. রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন। এ ছাড়া মারা যাওয়া তিনজন হলেন- আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ সকালে উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আব্দুল বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক এবং কবির হোসেনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে আসামিরা।
এ ঘটনায় নিহত বারেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান আসামি এবং ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগে যোগ দেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার। এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র হয়তো চায় না আমি ক্ষমতায় থাকি, বিবিসিকে প্রধানমন্ত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।