স্পোর্টস ডেস্ক: মর্যাদার অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) খেলতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের আগুনঝরা বোলিংয়ে ধরাশায়ী জো রুট, বেন স্টোকসরা। প্রথম দিনের দুই সেশনেই ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল জো রুট বাহিনী। কিন্তু একেবারে প্রথম বলে মিচেল স্টার্কের লেগ স্টাম্পের বল সম্পূর্ণ মিস করে ররি বার্নস আউট হন। অজি পেস ত্রয়ীর দাপটে মধ্যাহ্নবিরতির আগেই ৫৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট ফেরেন শূন্য রানে। এ ছাড়া দীর্ঘ বিরতি শেষে প্রত্যাবর্তন ম্যাচটা রাঙাতে পারলেন বেন স্টোকসও। ফিরলেন মাত্র পাঁচ রান করে।
ররি বার্নস শুরুতেই সাজঘরে ফেরার পর ওপেনার হাসিব হামিদ কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই তাকে সাজঘরে পাঠান অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্স। হামিদ ফিরেছেন ২৫ রানে। এরপর ব্যাট করতে নামা জস বাটলার অলি পোপের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে দলকে কিছুটা লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। তবে ৩৯ রানে থাকা বাটলারকে ফিরিয়ে শেষ কামড়টা দেন মিচেল স্টার্ক।
ইংল্যান্ডের শেষ দিকের চারটি উইকেট নিজের ঝুলিতে নেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে মাত্র ১৪৭ রানে।
পেসারদের দাপটের দিনে প্যাট কামিন্স একাই নেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট। এ ছাড়া জস হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক দুটি করে উইকেট লাভ করেন। এ ছাড়া একটি উইকেট নিজের ঝুলিতে ভরেন তরুণ বোলার ক্যামেরন গ্রিন।
সিরিজ শুরুর আগে আলাদা আলাদা কারণে অস্থিরতা চলছিল দুই ক্রিকেট বোর্ডেই। টিম পেইনের মেসেজ কেলেঙ্কারিতে টালমাটাল হয়ে পড়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে দ্রুতই সে সমস্যা সমাধান করে ছেলেদের ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে সমর্থ হয়েছে সিএ। ইতিহাস গড়ে একজন পেস বোলারের হাতে পড়ানো হয়েছে ব্যাগি গ্রিনদের আর্মব্যান্ড।
অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে এসে পর্যাপ্ত অনুশীলন করতে পারেনি ইংলিশরা। বৈরি আবহাওয়ায় ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে ব্রড-বাটলারদের। শেষ পর্যন্ত মাঠে ফিরলেও বর্ণবাদ অস্থির করে তুলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি)।
নিজের প্রথম দায়িত্বে রেকর্ডগুলোকে পাশে পাচ্ছেন প্যাট কামিন্স। ১৯৮৭ সালের পর কখনোই এই মাঠে জেতেনি ইংল্যান্ড। নাথান লায়ন আর স্মিথের ফর্ম এবং পরিসংখ্যান আশার পালে হাওয়া দিচ্ছিল নতুন কাপ্তানকে।
ইংল্যান্ড একাদশ
ররি বার্নস, হাসীব হামীদ, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, অলি পোপ, জস বাটলার, ক্রিস ওকস, অলি রবিনসন, মার্ক উড ও জ্যাক লিচ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ডেভিড ওয়ার্নার, মার্কাস হ্যারিস, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রীন, আলেক্স ক্যারে, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও জস হ্যাজলউড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।