জুমবাংলা ডেস্ক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় উপনির্বাচনের সময় ইউএনও সঙ্গে মোবাইল ফোনে যে কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তা পুরোপুরি এডিট করা বলে দাবি করেছেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন)। তিনি দাবি করেন, গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কথোকথন ছড়িয়ে পড়েছে, তা এডিট করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান নিক্সন চৌধুরী।
তার নির্বাচনী এলাকার ইউএনওদের সঙ্গে ‘ভাই-বোনের’ মতো সম্পর্ক দাবি করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, গত ১০ তারিখে যে উপনির্বাচন হল, সেই উপনির্বাচনে যে প্রার্থী ছিলেন, তার পক্ষে আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করেছেন। সেই উপনির্বাচনে
সকালে ১১টার দিকে আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু আমি তাকে একথা বলার জন্য ফোন করেছিলাম যে, আমার একজন কর্মী মাঠে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো, এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজিবি সদস্যদের দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ বিষয়টা অবগত করার জন্য তাকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু বাকী অংশটুকু সুপার এডিট করা হয়েছে।
আলোচিত এই আইন প্রণেতা বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনারা দেখতে পারবেন। ইউএনওর সঙ্গে আমার কথোপোথনটা দেয়া হয়েছে। ইউএনও একজন বিসিএস ক্যাডার। যদি ইউএনও সঙ্গে আমার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে বা রেকর্ড হয়। তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে, এ বিষয়ে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, কারো বক্তব্য রেকর্ড করা যাবে না এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া যাবে না। আমার মনে হয়, আমার ইউএনও এত বোকা না যে, আইনের লোক হয়ে তিনি আইন ভঙ্গ করবেন। আর এখন পর্যন্ত তার কোন বক্তব্য আসেনি। আপনারা তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, এরকম কোন কথা আমার সঙ্গে হয়েছে কি না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।