রফিক সরকার, গাজীপুর : গাজীপুরর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিকের হাতের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরল কালীগঞ্জ রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ (আরআরএন) পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত মাঠ ও পুকুরের। সেই সাথে ঐতিহ্য ফিরে পেল প্রাচীনতম সরকারী স্কুলটি। আর স্থানীয়দের প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন ইউএনও।
দু’দিন আগেও যে মাঠের কোনায় কোনায় ছিল ময়লার ভাগাড়। মাঠ ও পুকুরের পাশ দিয়ে সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতে হলে নাকে রুমাল গুজতে হতো সে মাঠ আর পুকুর অনেকটাই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। করোনাকালে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালটির ময়লা পুকুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও মো. শিবলী সাদিকের। তিনি পুকুরসহ পরিত্যক্ত মাঠটিরও দায়িত্ব নেন পরিস্কারের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার ময়লা মাঠের কোনায় ফেলানো হতো। সেখানে এখন ডাস্টবিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করে চারপাশে লাগানো হয়েছে মেহগনি গাছ। আর তাতে দেওয়া হয়েছে খাঁচা। তাছাড়া মাঠ ময়লা হওয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে দেওয়া হয়েছে সীমানা প্রাচীর। মাঠের আগাছা পরিস্কারে ছিটানো হয়েছে ঔষধ। অন্যদিকে পুকুরে পড়ে থাকা সকল ময়লা পরিস্কার করে পুকুরের পানি পরিস্কারে ছিটানো হয়েছে চুন। পুকুর রক্ষায় পুকুরের পশ্চিম পাশে দেয়াল নির্মানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষনের জন্য মাঠ ও পুকুরের চারপাশে লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। বর্তমানে পরিত্যক্ত মাঠে এখন শিশু-কিশোর ও যুবকরা খেলাধুলা করছে। আর যে পুকুরের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে মানুষের নাকে রুমাল গুছতে হতো সেই পুকুরে এখন গোসল ও অজু করা যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পুকুর ও মাঠটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ইউএনও শিবলী সাদিকের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির মাঠ ও পুকুর আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন মহতি উদ্যোগে স্থানীয়রা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ইউএনও শিবলী সাদিক বলেন, আসলে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার সুযোগ অনেক। তবে সেই কাজে যদি স্থানীয়দের সহযোগীতা থাকে তাহলে তা সহজেই করা সম্ভব। আমার এই কাজটিতে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমেরিকা প্রবাসী নাইম আহমেদসহ স্থানীয় অনেকে সহযোগীতা করেছেন। সরাসরি মাঠ পরিস্কারে হাত লাগিয়ে কাজ করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এজন্য আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
তিনি আরো বলেন, কোন কাজই আমি সঙ্গে নিয়ে যাব না। তবে ভাল কাজ করে যেতে পারলে স্থানীয় মানুষজনের হৃদয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত থাকা সম্ভব। বিগত দিনের মত স্থানীয়দের সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে আরো কিছু কাজ করে যেতে চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।