আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘রাশিয়া শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন আক্রমণ করে বসবে এমনটি ভাবিনি। ১৯৮২ সাল থেকে ইউক্রেনে আছি। কখনো মনে হয়নি, রাশিয়া এটি করবে’—বাংলাদেশ সময় গতকাল রবিবার দুপুর দেড়টায় এ কথা জানান ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে থাকা বাংলাদেশি এক ব্যবসায়ী। পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে টেলিফোনে তিনি বলেন, সবাই ‘মার্ক’ (চিহ্নিত) করে রাখছে। অনিশ্চিত একটি পরিস্থিতি।
কিয়েভ থেকে ওই বাংলাদেশি জানান, ইউক্রেনে এক হাজার থেকে দেড় হাজার বাংলাদেশি ছিল বলে ধারণা করা হয়। গত শুক্রবার ৫০ থেকে ৬০ জন বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে গেছে। শনিবার গেছে আরো প্রায় দেড় শ থেকে ২০০ জন। কয়েক রাত ধরে ঘুমাতে পারেননি। কিয়েভে বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আর সীমান্তের ওপারে পোল্যান্ডে সমন্বয় করছেন পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
ইউক্রেন ছাড়বেন কি না জানতে চাইলে কিয়েভের ওই বাংলাদেশি বলেন, আপাতত আর কিয়েভ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন না তিনি। তা ছাড়া সুযোগও কম। কারফিউ চলছে। পরিবহন নেই। যারা সীমান্তের দিকে যাচ্ছে, তাদের ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার করে হাঁটতে হচ্ছে। সীমান্তে অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারি। এই বয়সে তিনি এত ঝক্কি নিতে চাচ্ছেন না।
ইউক্রেনে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু থাকবে কিনা জানালেন ইলন মাস্ক
কথা বলার ফাঁকে তিনি একটু সময় চেয়ে নিয়ে বলেন, কিয়েভের একটি ভবনে এই মাত্র বোমা পড়েছে।
কিয়েভ পরিস্থিতি কেমন জানতে চাইলে ওই বাংলাদেশি বলেন, রাতে হামলার সতর্কীকরণ সাইরেন বাজছে। সাইরেন বাজলে সবাই বাংকারে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
তিনি বলেন, এখন দিনেও সাইরেন বাজছে। বাংকারে যেতে আর ইচ্ছা হচ্ছে না।
ওই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জানান, একটি বহুতল ভবনে সপরিবারে থাকেন তিনি। বাংকারের দিকে ছোটাছুটি ভালো লাগছে না।
রাশিয়ার হামলা নিয়ে কিয়েভের জনগণের মনোভাব কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভের কাছাকাছি চলে এসেছে। তাদের ঠেকাতে ইউক্রেনের সেনারাও যুদ্ধ করছে। ইউক্রেনের লোকজনও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।
তিনি জানান, একটি দেশ অন্যের দ্বারা আক্রান্ত হলে তার জনগণের মনোভাব আর কী হতে পারে? সবাই হতাশ, ক্ষুব্ধ।
তিনি আরো জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন দেশ বলছিল, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে। তখন ইউক্রেনের বাসিন্দারা ওই কথার খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। কারণ তারা ভাবেনি, শেষ পর্যন্ত এটি হবে। এখন যা ঘটছে, তা অপ্রত্যাশিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।