আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে আমেরিকা। এদিকে, হাসপাতালে বোমাবর্ষণের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন জেলেনস্কি। খবর রয়টার্স, এপি, এএফপি ও বিবিসির।
বুধবার ইউক্রেনের মারিউপলে রাশিয়া একটি হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তার অভিযোগ, পূর্বপরিকল্পনা করেই হাসপাতালে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কারো নিহত হওয়ার খবর পাওয়া না গেলেও বহু ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। যার মধ্যে গর্ভবতী নারী এবং শিশুও আছে। এখনো ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার রাতে আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। বুধবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেস সেক্রেটারি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সম্প্রতি রাশিয়া আমেরিকার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তুলেছে। অ্যামেরিকা সেই অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রেস সেক্রেটারির অভিযোগ, আমেরিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে রাশিয়া আসলে নিজেদের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের রাস্তা তৈরি করে রাখতে চেয়েছে। যে কোনো সময় তারা ওই অস্ত্র ইউক্রেনে ব্যবহার করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনে হামলার গতি আরো বাড়াতে পারে রাশিয়া। সেখানে প্রথাগত নয়, এমন অস্ত্র রাশিয়া ব্যবহার করতে পারে।
বুধবার মারিউপলের আক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। ওই আক্রমণকে শুধু গণহত্যা নয়, যুদ্ধাপরাধ বলেও বর্ণনা করেছেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার উপর আরো বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষেও আবেদন করেছেন তিনি। জেলেনস্কির অভিযোগ, মারিউপল কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। সেখান থেকে সাধারণ মানুষকেও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সামরিক ঘাঁটির বাইরেও বোমা এবং গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তবে সুমি এবং কিয়েভের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে বুধবার প্রায় ৩৫ হাজার সাধারণ মানুষকে বার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবারও ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষকে বের করা যাবে বলে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। ইউক্রেন চাইছে, এমন আরো বেশ কয়েকটি সেফ প্যাসেজ তৈরি করতে।
বৃহস্পতিবার তুরস্কে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এদিকে, আরো বেশ কয়েকটি সংস্থা রাশিয়া থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। মাইনিং সংস্থা রিও টিন্টো জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে সবরকম ব্যবসায়িক সম্পর্ক তারা ছিন্ন করছে। সেখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।