আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ২৪ ফেব্রয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সাধ্যমতো প্রতিরোধও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে অস্ত্রনিরপেক্ষ মর্যাদা ধারণ করতে হবে, অর্থাৎ কখনওই ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না তারা। একই সঙ্গে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি ও ডোনবাসকে (ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক) স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে। এসব দাবিতে মূলত ইউক্রেনে এই অভিযান চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার এই হামলার জন্য উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ‘ন্যাটো’কেই দুষলেন ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস।
তিনি মন্তব্য করে বলেছেন, ন্যাটো রাশিয়াকে বারবার বিরক্ত করায় ইউক্রেনে হামলা হয়ে থাকতে পারে।
একই সঙ্গে ইউক্রেনকে অন্য দেশগুলোর আরও অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলেও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
ইতালির দৈনিক ‘কোরিয়েরে ডেলা সেরা’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ ফ্রান্সিস এই মন্তব্য করেন। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের নৃশংসতার নিন্দাও জানিয়েছৈন পোপ ফ্রান্সিন। আগ্রাসনের সাফাই গাইতে গিয়ে ধর্মীয় প্রেক্ষাপট হাজির করায় রুশ অর্থোডক্স চার্চ নেতারও সমালোচনা করেন তিনি। পোপ সতর্ক করে বলেন, মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল ‘নিজেকে পুতিনের সেবকে পরিণত করতে পারেন না।’
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আচরণকে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন তিনি। পোপ বলেন, আমি জানি না, দেশটি কোনও ঘটনায় হামলায় প্ররোচিত হয়েছে কি না, তবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ন্যাটোর উপস্থিতি সম্ভবত সেই সুযোগ করে দিয়েছে।
পোপ আরও বলেন, “ইউক্রেনের সংঘাত অন্য দেশগুলো সৃষ্টি করেছে।” তবে এসময় তিনি সুনির্দিষ্ট করে কোন দেশের নাম উল্লেখ করেননি। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।