আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র তা খারিজ করে দিয়ে দাবি করেছে যে, সেনা প্রত্যাহারের পরিবর্তে মস্কো আরো সৈন্য পাঠিয়েছে, যা ইউক্রেনে আগ্রাসনের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ‘ভুয়া’ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার জন্য সমালোচনা করে মস্কোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে ইউক্রেন সীমান্তে মস্কো ‘৭ হাজারের বেশী সৈন্য’ বাড়িয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে বুধবার সীমান্তে পৌঁছেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা অব্যাহতভাবে ইঙ্গিত পাচ্ছি যে আগ্রাসনের ন্যায্যতা দিতে যে কোন সময় তারা মিথ্যা অজুহাতে হামলা চালাতে পারে। ”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, মস্কো বলছে তারা কূটনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে চায়, কিন্তু তাদের কার্যক্রম তা নির্দেশ করছে না।
এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো এবং ইউক্রেন জানায়, দখলকৃত ক্রিমিয়ায় সেনা মোতায়েনের পর রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি, সেনা প্রত্যাহারের খবরে তখনও আশা করা হয়েছিল যে সংকট কেটে যাবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি বুধবার ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীর রিভন শহরের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাদের পশ্চিমাদের সরবরাহ করা ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্রের প্রশিক্ষণ মহড়া পরিদর্শনকালে দেশটিতে ‘একতা দিবসের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি সামরিক অলিভ গ্রীন পোশাক পড়ে মারিউপোল শহরের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করেন।
পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল রাশিয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে, এই দিনেই মহড়া পরিদর্শনকালে জিলনস্কি বলেন, “আমরা কাউকে, কোন শত্রুকে ভয় পাই না, আক্রান্ত হলে আমরা নিজেদের রক্ষা করবো।”
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রদর্শিত ছবিতে দেখানো হয়েছে ক্রিমিয়ায় বড় একটি মহড়া শেষে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে, জেলনস্কি বলেছেন, সেখানে সৈন্য প্রত্যাহারের কোন প্রমাণ নেই।
তিনি এক টেলিভিশন বক্তব্যে বলেন, “আমরা সেখানে সৈন্যদের ছোট ছোট রোটেশন (একদল সৈন্যের বদলে আরেক দল প্রতিস্থাপন) দেখতে পাচ্ছি। এই রোটেশনকে আমরা রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার করেছে বলবো না। আমরা কোন পরিবর্তন দেখছি না।” সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।