জুমবাংলা ডেস্ক : ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপির নতুন কালচার শুরু হয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সরকারের পলিসির কারণে এ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি হচ্ছে। এ পলিসি রিভিউ করা দরকার। যাতে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি নতুন প্রজন্মে তৈরি না হয়।
রোবাবর (১০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘প্রাক-বাজেট আলোচনা : বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪ যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আর এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এবং জাতীয় সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, একটা কালচার শুরু হয়েছে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। ঋণখেলাপি শুনতাম, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি এটি গত এক-দুই বছর ধরে সরকারের পলিসির কারণে। আমি মনে করি এ পলিসি রিভিউ করা দরকার। যাতে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি নতুন প্রজন্মে তৈরি না হয়। এটা একটু খেয়াল করলে আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতি অধিক শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, এ যে বাজেট আসছে সবগুলো মন্ত্রণালয় বলবে, সবগুলো সেক্টর বলবে আমার বরাদ্দ কম। আমি একবার জিজ্ঞাসা করেছি কোন জায়গা থেকে কেটে আপনাকে দেবো, সেটা বলেন। আপনারা বাড়াতে হলে কোথাও কমাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক হিসাব-নিকাশ করে কোন খাতে কত বরাদ্দ যাবে এটা সরকার মোটামুটি নির্ধারণ করে দেয়। সামান্য একটু পরিবর্তন হয়। কিন্তু কোনো সময় বলে না, ১০ বছর আগে আমার বরাদ্দ ছিল ১০ টাকা এখন হয়েছে ৩০-৫০ টাকা, এটা বলে না।
বাজেট বাস্তবায়নের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনো কোনো খাত বলে বরাদ্দ কম। কিন্তু জিজ্ঞাসা করেন গত অর্থবছরে আপনি কত ব্যয় করেছেন, ব্যায়ের ক্যাপাসিটি ৬০-৭০ ভাগ। কাজেই আমাদের বাজেট বাস্তবায়নের ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বন্ড এবং বিমা এ দুটি খাত অত্যন্ত দুর্বল খাত হয়ে আছে আমাদের। অথচ এ দুটি অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব শক্তিশালী কম্পনেন্ট। আমাদের পলিসির দিকে নজর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এ মুখ্য সচিব বলেন, এ যে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা করোনার আগে ২০১৯ সালে আমাদের ৮ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল। করোনার কারণে কমেছে। কিন্তু এখন আগের জায়াগায় ফিরে আসছে। এটার বড় কারণ হচ্ছে সরকারের পলিসি ঠিক থাকা।
তিনি বলেন, সরকারের পলিসি আগামী বাজেটের জন্য কেমন হওয়া উচিৎ, আপনারা খুব সঠিক বলেছেন, ট্যাক্স নেট বাড়ানো, ট্যাক্স জিডিপি ইত্যাদির কথা।
ট্রান্সফাস্টের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রাইভেট কার জেতার সুযোগ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।