নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে অস্থায়ী দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানার টঙ্গী বাজার এলাকায় আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গী বাজার এলাকায় আশরাফ সেতু ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির প্রায় ৫০০ দোকানি ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাকের্টের সামনে অস্থায়ী দোকান বসানোর কথা বলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে বরাদ্দ দিয়েছে মার্কেট মালিক সমিতি। এ নিয়ে সকাল থেকে দোকানঘর বন্ধ করে মাকের্টের মূল ফটকের সামনে আন্দোলন করেন দোকানিরা। এসময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এসে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে।
আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্স ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম শিশির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি। ইজতেমা উপলক্ষে অস্থায়ী দোকান বসলে আমাদের জন্য সমস্যা হয়। বছরে একটি মাত্র ইজতেমায় ব্যবসা করবো তাতেই মালিক পক্ষের বিভিন্ন টালবাহানা।
তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ টাকা দিয়ে দোকানঘর নিয়েছি। মাকের্টের সামনের অস্থায়ী দোকানঘর দিলে মাকের্টের ভেতরে কেউ প্রবেশ করবে না। এতে, আমাদের প্রায় ৫০০ দোকানির ক্ষতি হয়ে যাবে।’
সমিতির কার্যকরী সদস্য মশিউর রহমান বলেন, ‘মালিক সমিতি কিছু টাকার বিনিময়ে আমাদের ক্ষতি করে মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকান বসানোর চেষ্টা করছে। পরে, আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার পর তারা জানান, কোনো অস্থায়ী দোকান বসতে দেবেন না। তবুও বাইরের কিছু লোকজন এসে আমাদের মার্কেটের সামনে দোকান বসাতে চাচ্ছে। আমরা চাই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক। অন্যথায় আমরা কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা দেবো।’
মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকানের জন্য মালিকপক্ষ থেকে ভাড়া নেওয়া জিহাদুল রহমান সাব্বির বলেন, ‘আমি মালিকপক্ষ থেকে লিখিত ভাড়া নিয়েছি। ভাড়া জায়গায় দোকান বসাতে চাচ্ছি কিন্তু দোকান ব্যবসায়ী সমিতি দিতে রাজি হচ্ছে না। যদি দোকান বসাতে না পারি তাহলে আমার কাছ থেকে অস্থায়ী দোকান ভাড়া বাবদ নেওয়া আড়াই লাখ টাকা যেন বুঝিয়ে দেয়।’
এ বিষয়ে মার্কেট মালিক সমিতির সভাপতি বাছেদ খান বলেন, প্রতিবছরই মার্কেটের সামনের অংশটুকু ইজতেমায় ভাড়া দিয়ে আসছি। কিছু অস্থায়ী দোকান বসলে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের উপকার হয়।
এদিকে ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন সরকার ঘটনাস্থলে যান। তিনি ব্যবসায়ী, মালিক সমিতি ও ইজারাদারদের সঙ্গে মিটিং করে অস্থায়ী দোকানঘর বরাদ্দ বন্ধ করে দেন। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দোকানিরা চলে যান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, মাকের্টের দোকানিদের সমস্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।