Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীও সোনাগাছির যৌ’নকর্মী!
আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীও সোনাগাছির যৌ’নকর্মী!

Zoombangla News DeskJuly 29, 2019Updated:July 29, 20195 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যাদবপুরের দুই পড়ুয়া। স্নাতক স্তরের ওই দুই পড়ুয়ার মধ্যে রয়েছে প্রেমের সম্পর্ক। তাঁরা বিয়েও করতে চান। অথচ, তাঁদের বিয়েতে রয়েছে দুই পরিবারের তরফে চূড়ান্ত আপত্তি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও বিয়ে করলেন বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ওই তরুণ এবং তরুণী। কিন্তু, সংসার চলবে কীভাবে? কীভাবে-ই-বা তাঁরা বেঁচে থাকবেন? কেননা, তাঁরা কেউ-ই রোজগেরে নন। প্রেমের সম্পর্কের একপ্রকার পরিণতি হিসেবে তাঁরা বিয়ে করেছেন। কাজেই, জীবন এবং জীবিকার বিষয়টি তাঁদের কাছে তখন অন্যতম প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত, স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষেই তাঁরা চুকিয়ে দিলেন পড়াশোনার পাট। এবং তাঁরা যোগাযোগ করলেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে। কারণ, অন্যকোনো জীবিকা নয়। তাঁরা যৌ’নপেশায় অংশ নিতে চান।

শেষ পর্যন্ত, দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সম্মতিতে, জীবিকা হিসেবে যৌ’নপেশাকে বেছে নেন ওই তরুণী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ওই তরুণ এবং তরুণী রয়েছেন উত্তরবঙ্গের এক যৌ’নপল্লীতে। ওই তরুণী সেখানকার যৌ’নকর্মী। তবে, জীবন-জীবিকার টানে এভাবে ওই তরুণী উপার্জন করলেও, তাঁর ওই তরুণ স্বামী অবশ্য বেকার। দুই পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগও নেই। এবং জীবন-জীবিকার টানে ওই তরুণী শেষ পর্যন্ত যৌ’নপেশাকে বেছে নিলেও, তাঁরা উভয়েই তাঁদের পরিচয় গোপন রাখতে চান বলেও জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র এমন ঘটনাও নয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়া। তিনিও পড়াশোনার পাট চুকিয়ে, জীবন এবং জীবিকার টানে বেছে নিতে চান যৌ’নপেশাকে। কারণ, পরিবারের সঙ্গে ওই ছাত্রীর এমন অশান্তি হয়েছে যে, তার জেরে তিনি যোগাযোগ করেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে। তিনি যেমন আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ শেষ করতে চান না। তেমনই, তিনি আবার বাড়িতেও ফিরতে চান না।

যে কারণে, জীবিকা হিসেবে যৌ’নপেশাকে বেছে নেওয়ার জন্য তিনি নাছোড়বান্দা। এবং এই ঘটনাও কলকাতার। তবে, শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই পড়ুয়াকে যৌ’নপেশায় অংশ নিতে হয়নি। কেননা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ওই তরুণীর কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার পর, দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর বাবার সঙ্গে। ওই তরুণীর বাবার অনুরোধ অনুযায়ী, সোনাগাছিতে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির অফিসে বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে। কারণ, তত সময়ে সেখানে পৌঁছতে চান ওই তরুণীর বাবা। এর পর, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই পড়ুয়ার বাবা সেখানে পৌঁছলে, দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির তরফে তাঁকে দেখানো হয় ওই তরুণীর লিখিত আরজি, জীবন-জীবিকার টানে কেন তিনি যৌ’নপেশায় অংশ নিতে চান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই তরুণীকে বোঝানো সম্ভব হয়। এবং তার জেরেই, যৌ’নপেশায় অংশ না নিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। শুধুমাত্র যেমন এই দুই ঘটনাও নয়। তেমনই, এই দুই কাহিনী আবার বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনাও নয়।

কেননা, আগেও যেমন এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটিকে। তেমনই, এখনও এই ধরনের বিভিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের যৌ’নকর্মীদের অন্যতম ওই সংগঠনকে। তবে, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের অন্যতম ফারাক, আগের তুলনায় এখন এই ধরনের অনেক বেশি ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটিকে। কারণ, আগের তুলনায় এখন আরও অনেক বেশি সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত মহিলা বেছে নিতে চাইছেন যৌ’নপেশাকে। এবং যৌ’নপেশায় অংশ গ্রহণের জন্য তাঁরা যোগাযোগ করছেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে। ওই সংগঠনের সচিব ভারতী দে’র কথায়, শুধুমাত্র যাদবপুরের বিএ সেকেন্ড ইয়ারের ওই দুটি ছেলে-মেয়ে নয়। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই মেয়েটিও নয়। আগের তুলনায় আমরা এখন এই ধরনের অনেক বেশি ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছি।

একই সঙ্গে ভারতী দে বলেন, যৌ’নপেশায় নামার জন্য প্রতিমাসে এখন ২০০ থেকে ২৫০ জন মেয়ে আমাদের সেলফ রেগুলেটরি বোর্ডের সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রাপ্তবয়স্ক এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুই ধরনের মেয়েরাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৯৮ শতাংশ এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ মেয়ে নিজের ইচ্ছায় যৌ’নপেশায় নাম চাইছেন। তবে, যৌ’নপেশায় নামার জন্য আমাদের সেলফ রেগুলেটরি বোর্ড কখনও অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো মেয়েকে সম্মতি দেয় না। সে ক্ষেত্রে কী হয়? কেননা, ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা তাঁদের ইচ্ছায় যৌ’নপেশায় অংশ নিতে চাইছেন। তা হলে, ওই সব অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলা কি তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন? তাঁরা কি ফিরে যান তাঁদের বাড়িতে?

দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সচিব বলেন, যৌ’নকর্মী হওয়ার জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা যখন আমাদের সেলফ রেগুলেটরি বোর্ডের সম্মুখীন হয়, সেই সময় আমাদের বক্তব্য জানার পরে তাদের অনেকে এমন কথা বলে যে, আমরা তাকে সুযোগ দিচ্ছি না তো কী হয়েছে, অন্যকোনো যৌ’নপল্লীতে সে যাবে। সেখানে সে যৌ’নপেশায় নামার সুযোগ পাবে। এ ক্ষেত্রে সেভাবে আমাদের করার কিছু থাকে না। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের সব যৌ’নপল্লীতে এখনও আমরা পৌঁছতে পারিনি। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির অধীনে যে সব যৌ’নপল্লী রয়েছে, সেই সব জায়গায় কোনোমতেই কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে যৌ’নপেশার জন্য সম্মতি দেবে না আমাদের সেলফ রেগুলেটরি বোর্ড। বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক মহিলা যেভাবে নিজের ইচ্ছায় যৌ’নপেশায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে, তার পিছনে অন্যতম কারণগুলির মধ্যে দারিদ্র্য এবং বাড়িতে অশান্তির মতো বিষয় রয়েছে বলেও জানান তিনি।

যদিও, যৌ’নপেশায় অংশ গ্রহণের জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রী অথবা উচ্চশিক্ষিত কোনো তরুণী যে শুধুমাত্র দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গেই যোগাযোগ করছেন, তাও নয়। এসকর্ট সার্ভিস সহ অন্য নানা উপায়ে তাঁরা যৌ’নপেশায় অংশ নিচ্ছেন। কখনও যেমন অর্থের প্রয়োজনে অথবা অতিরিক্ত অর্থের কারণে। তেমনই, কখনও আবার নিছক-ই যৌ’নসুখ উপভোগের কারণে তাঁরা যৌ’নপেশায় অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিজাত শ্রেণির-ও চাকরিজীবী মহিলা অথবা গৃহবধূ। তেমনই, শুধুমাত্র আবার মহিলারাও নন। যৌ’নপেশায় অংশ নিচ্ছেন পুরুষরাও। এবং কলকাতায়-ও, এভাবে বিভিন্ন উপায়ে যৌ’নপেশায় অংশগ্রহণের হারও আগের তুলনায় এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে।

কিন্তু, যৌ’নপেশায় অংশ নেওয়ার জন্য আগের তুলনায় আরও বেশি সংখ্যক উচ্চশিক্ষিত মহিলারা কেন যোগাযোগ করছেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সঙ্গে? ভারতী দে বলেন, অনেক সময় প্রেমের সম্পর্কে কোনো মেয়ে ফেঁসে যায়। অনেক সময় প্রেম করে বিয়ে করার পরে কিছু আর করার থাকে না। যেমন যাদবপুরের ওই দুজন। যৌ’নকর্মী হিসেবে মেয়েটি উপার্জন করছে। অথচ ছেলেটি কোনো উপার্জন করছে না। ওই মেয়েটির উপার্জনেই ছেলেটি চলছে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, একসময় ওই ধরনের কোনো মেয়েকে ছেড়ে দিয়ে, অন্যকোনো মেয়েকে নিয়ে থাকছে ওই ধরনের কোনো ছেলে। আর, এভাবেও কলকাতার সোনাগাছি সহ এই শহর এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন যৌ’নপল্লীতে এখন যৌ’নকর্মী হিসেবে পরিচয় বহন করে চলেছেন উচ্চশিক্ষিত বহু মহিলা। (কলকাতা ২৪x৭-এর প্রতিবেদন)

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘যৌনকর্মী’ আন্তর্জাতিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপার ছাত্রীও বাংলা সোনাগাছির
Related Posts

শুভ বড়দিন আজ

December 25, 2025
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী -সৌদি আরব

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিল সৌদি আরব

December 24, 2025
লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

December 24, 2025
Latest News

শুভ বড়দিন আজ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থী -সৌদি আরব

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিল সৌদি আরব

লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

কানাডা

বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করল কানাডা

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

রহস্যময় জায়গা, যেখানে গেলে ফেরে না কেউ

রহস্যময় হ্রদ

এই হ্রদের কাছে গেলেই প্রাণ যাবে আপনার, বিজ্ঞানীরাও ভয় পান যেতে

সবচেয়ে বড় কলা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কলা এটি, ওজন ৩ কেজি

শিখদের বিক্ষোভ আজ

হাদি হত্যার প্রতিবাদে সাত দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ আজ

সেনাপ্রধান নিহত

বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত

JD Vance

নিজের স্ত্রীর সমালোচনাকারীদের আবর্জনা খেতে বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.