চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে দুটি র্যাকের ওপর একাধিক কনটেইনার সাজানো অবস্থায় দেখবেন। এমনকি রেলওয়ের ট্রানজিট পয়েন্টে ১০০টির বেশিও কনটেইনার দেখতে পারবেন। এভাবে কনটেইনার পড়ে থাকার পেছনে প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন না পাওয়া দায়ী। রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকট চলছে। এর ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে পূর্বে অন্তত ১৬০টি কনটেইনার পরিবহন হতেও। বর্তমানে তা ৫০ থেকে ৬০ কন্টেইনার পর্যন্ত পরিবহন হয়। কনটেইনার পরিবহন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি ইঞ্জিন বরাদ্দ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ৩-৪টি ইঞ্জিন প্রতিদিন চলাচল করলে ১৫০ থেকে ১৬০ কনটেইনার পরিবহন সম্ভব। মাত্র ২টি ট্রেন পাওয়ায় কনটেইনার জমে যাচ্ছে।
বন্দরের তথ্যমতে, কমলাপুর আইসিডিগামী ইয়ার্ডে ৮৭৬টি কনটেইনার রাখার ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে কনটেইনার রয়েছে এক হাজার ৪০০টি। এমনকি আইসিডিগামী আরও ১ হাজারের বেশি কনটেইনার নিয়ে বহির্নোঙ্গরে অন্তত ৫টি জাহাজ অপেক্ষায় রয়েছে।
আমদানি করা পণ্য ভর্তি কনটেইনার ৬ থেকে ১৬ দিন অলস পড়ে থাকায় পণ্যের দামে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। এমএসসি শিপিং লিমিটেডের হেড অব অপারেশন আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বন্দরের বড় একটি অংশ এসব কনটেইনার দখল করে রাখায় নতুন কনটেইনার খালাসে বিলম্ব হচ্ছে। এতে বাড়তে পারে আমদানি করা পণ্যের দাম। যার প্রভাব পড়বে ভোক্তার ওপর।
বন্দরের ইয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কমলাপুর আইসিডিগামী কিছু কনটেইনার এনে রাখা হয়েছে ট্রানজিট পয়েন্টে। অনেকটা খোলা স্থানে রাখা এসব পণ্য বোঝাই কন্টেইনারের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার নরেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ইঞ্জিন সংকটের কারণে ৫-৭দিন ট্রেনগুলো অলস পড়ে থাকছে। এতে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। একদিকে চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনের বরাদ্দ মিলছে না। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে জরুরি জ্বালানি তেল সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের বরাদ্দ কেটে তেলবাহী ওয়াগনে যুক্ত হচ্ছে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিওপিএস মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।