জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার খুবই সীমিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মহাসড়কে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির সবোর্চ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে নারীদের অংশগ্রহণ, সমৃদ্ধ প্রযুক্তি গত জ্ঞান, নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিআরটিসি) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের (বিআইজিএফ) ২০২৩ এর তৃতীয় বাষির্কীর আলোচনায় সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইন্টারনেটের কার্যকর ব্যবহার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে জ্ঞান বাড়াতে প্রান্তিক নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান প্রেস ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ইনফরমেশন অফিসার নাসরিন জাহান লিপি। তিনি বলেন, তথ্য মানে শক্তি। নারীরা যদি ফেসবুক ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন তবে ইন্টারনেটের পজেটিভ ব্যবহার কেন নয়?
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক টেলিযোগাযোগ অ্যান্ড আইসিটি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য অপরাজিতা হক বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এসব কার্যকর যথষ্টেই নয়।
বিদেশি ডেটাস্টোর ওপর নির্ভরতা কমাতে দেশীয়ভাবে তথ্যের সংরক্ষণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, কদিন পরে যন্ত্রনির্ভর এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইন্টারনেট জগতের বিশার প্লাটফর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রে নানান চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলি মাথায় রেখেই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশাল প্রযুক্তিজগতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নানা বাধা রয়েছে।
এর জন্য শক্তিশালী সাইবার সুরক্ষা গুচ্ছ থাকতে হবে। তবে সাইবার ব্যবহারে মানুষদের উদ্দীপ্ত করে তথ্যপ্রযুক্তির সর্ব্বোচ ব্যবহারে ইতিবাচক অর্জন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদা ব্যক্ত করেন অপরাজিতা হক।
বিটিআরসি’র সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল খলিল উর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে ডিজিটাল সাক্ষরতা খুবই জরুরি। দেশে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি আছে কিন্তু ব্যবহার জ্ঞান না জানায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে না।
তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়িনোর তাগিদ দিয়ে সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে নূর ই নুসরাত বলেন, তথ্য প্রযুক্তির নির্ভর কর্মসংস্থান ও নতুন নতুন তথ্য ধারণা দেওয়া গেলে সমৃদ্ধ প্রযুক্তিগত জ্ঞান নির্ভর নারী সমাজ তৈরিতে সহায়ক হবে।
অস্ট্রেলিয়া থেকে অনলাইনে সেমিনারে যুক্ত হন কমিউনিকেশন অ্যান্ড অনলাইন কমিউনিটি এপিনিকের ম্যানেজার সিয়েরা পেরি। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ফেলোশিপের মাধ্যমে দক্ষ হবার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধারায় ওই সব ফেলোশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।