জনসংখ্যার দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবথেকে বড় দেশ হল ইন্দোনেশিয়া। যদি বিশ্ব মানচিত্রে ইন্দোনেশিয়াকে আপনি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন যে, তাদের ভূখণ্ড এমনভাবে সমুদ্রে ছড়িয়ে আছে যেন পানিতে ভাসমান কয়েকটি কাগজের টুকরো। আজ এ দেশটির অর্থনীতি, জীবন-ব্যবস্থা সহ বিস্তারিত পাঠকদের জন্য আলোচনা করা হবে।
ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র বলা হয়। প্রায় ১৮ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেখানে এমন দ্বীপ রয়েছে যে যার কোন নাম নেই এবং যেখানে কোন মানুষ বাস করে না।
বিশ্ব বাণিজ্যের বড় একটা অংশ সমুদ্রের যে প্রণালী দিয়ে পরিচালিত হয় তা ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্ভবত জাপানের থেকে বেশি ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ায় হয়ে থাকে। আবার নিয়মিত অগ্নুৎপাতের চ্যালেঞ্জ তাদের মোকাবেলা করতে হয়।
দেশটিতে ৮৬.৭ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইন্দোনেশিয়ার সংস্কৃতি অনুযায়ী সেখানে বছরজুড়ে নানা ধরনের ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৯৬ শতাংশ মানুষ পুরোপুরি শিক্ষিত।
ইন্দোনেশিয়ার উচ্চশিক্ষার কিছুটা ঘাটতি থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি জমায়। ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যার ৫৭ শতাংশ মানুষ শহরেই বাস করে।
সমসাময়িক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার মানুষের গ্রাম থেকে শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিষয়টি দেশটির সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসে।
জিডিপির দিক থেকে দেশটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীতে খুব অল্প কয়েকটি দেশ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপিতে প্রবেশ করতে পেরেছে। এদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম।
ইন্দোনেশিয়ান পাম ওয়েল দেশটির অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় আটাশ বিলিয়ন ডলারের মত অর্থ তারা পামওয়েল সেক্টর থেকে পায়। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক টুরিস্ট ইন্দোনেশিয়াতে পাড়ি জমায়।
জাতিগত বৈচিত্রতার জন্য ইন্দোনেশিয়ান খাবার ট্যুরিস্টদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বেকারত্ব এবং আয়ের দিক থেকে বৈষম্যের কারণে ইন্দোনেশিয়াতে প্রায় সময় অরাজগতা বিরাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।