জুমবাংলা ডেস্ক: অনেকেই আমেরিকায় গ্রীনকার্ড নিয়ে বৈধভাবে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিষয়টি সম্ভব। কিন্তু ’খুবই সহজ’ বা ’কম খরচে’ কিম্বা ’কম সময়ে’ সম্ভবপর নয়। ইবি-থ্রি হচ্ছে এমপ্লয়মেন্ট-বেইডজ-গ্রীনকার্ড। অর্থাৎ চাকুরী সূত্রে গ্রীনকার্ড। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলা ভিশনের অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদনটি লিখেছেন তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস।
আপনাকে যদি কোন আমেরিকান ইলিজিবল কোম্পানী ‘জব স্পন্সর’ করে – তাহলে আপনি গ্রীনকার্ড (ইমিগ্রান্ট ভিসা) নিয়ে আমেরিকায় আসতে পারবেন; তবে, ঐ স্পন্সরড কোম্পানীতে আপনাকে কমপক্ষে ২ বছর বাধ্যতামূলকভাবে জব করতে হবে। টোটাল প্রসেসিং এ মোটামুটি ৩ বছর সময় লাগবে।
শর্ত হচ্ছে, আপনাকে ২ বছরের কন্ডিশনাল গ্রীনকার্ড দেয়া হবে।
আপনি আপনার স্পন্সরড কোম্পানীতে যথাযথভাবে ২ বছর চাকুরী করার পর আপনার গ্রীনকার্ড থেকে ‘কন্ডিশন রিমোভ’ করতে পারবেন।
আপনার স্ত্রী-সন্তানও আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবেন।
৫ বছর আমেরিকায় বসবাসের পর সিটিজেনশীপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
স্পন্সরড কোম্পানীতে আপনাকে সপ্তাহে ৫ দিন কমপক্ষে ৪০ ঘন্টা (দৈনিক ৮ ঘন্টা) জব করতে হবে। আপনি চাইলে ৪০ ঘন্টা ওই কোম্পানীতে জব করার পর বাইরেও অন্য কোম্পানীতে জব করতে পারবেন।
এসব জবগুলো সাধারণত ’কান্ট্রি সাইড’-এ (গ্রামের দিকে) হয়ে থাকে।
বেতনও থাকে তুলনামূলক কম। নিউ ইয়র্কের মতো মেগাসিটিতে এমন জব তেমন একটা পাওয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস বা সান ফ্রান্সসিসকো’র মতো বড় সিটিগুলোতে বেতন বেশী হয়ে থাকে- খরচও অনেক বেশী।
কান্ট্রি সাইডে, বেতন একটু কম হলেও, খরচ খুবই কম।
কান্ট্রি-সাইডের কোম্পানীগুলোতে বেতন হয়ে থাকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ ডলারের মতো; অনেক সময় কমবেশী হয়ে থাকে। সবই ‘অড-জব’। তবে, মজার বিষয় হচ্ছে আমেরিকায় কোন ভারী কাজ (যেমন বস্তা মাথায় নেয়া ইত্যাদি) করতে হয় না। সবই যন্ত্রপাতির সাহায্যে করতে হয়। কাজেই কোন কাজই কষ্টকর নয় তেমন একটা।
সচারাচর এগ্রোফার্ম, প্রোডাকশন ফ্যাক্টরী, কারখানা, রেস্টুরেন্ট এসব কোম্পানীতে বেশী জবের সুযোগ পাওয়া যায়।
সুবিধা হচ্ছে, ইবি-থ্রি ভিসা সকলের জন্য উম্মুক্ত।
এটার জন্য কোন কোয়ালিফিকেশন প্রয়োজন হয় না; লেখাপড়া না জানলেও কোন সমস্যা নেই; কিন্তু ইংলিশে কথা বলতে পারতে হবে। এই ভিসার জন্য উচ্চতর একাডেমিক যোগ্যতা কোন কাজে লাগবে না।
আপনি নিজে যদি কোন ‘জব স্পন্সর’ খুঁজে না পান; সেক্ষেত্রে আমি ইলিজিবল কোম্পানী এবং টোটাল প্রসেসিং করে দিতে পারি। যদিও এতে অনেক টাকা (মোটামুটি ৪০ হাজার ডলার) খরচা হয়ে যাবে এবং ৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টা বাংলাদেশে বসে চিন্তা করা অনেকের পক্ষেই সম্ভবপর হবে না।
টাকার এমাউন্টটি সত্যি সত্যিই অনেক বেশী।
তবে, আমেরিকার গ্রীনকার্ড এর তুলনায় – তা খুবই কম।
আমেরিকায় হাতের কাজ জানা থাকলে একটু পরিশ্রম করলে বছরে ১০০ হাজার ডলার আয় করা তেমন কোন বিষয়ই নয়।
‘শেনজেন ভিসা’র মতো সৌদি-আমিরাতের ভিসায় যেসব দেশে ভ্রমণের সুযোগ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।