জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সম্মানি বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজশাহীর পবায় মডেল মসজিদ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কেউ যাতে ধর্মীয় চেতনার পরিপন্থী কর্মকাণ্ড করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ধর্মের মূল শিক্ষা হল শান্তি, সহনশীলতা ও মানবতার কল্যাণে কাজ করা। আমাদের প্রত্যেককে এ শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে হবে। ধর্মীয় উৎসব ও আচার অনুষ্ঠানগুলোতে পারস্পরিক সম্মানবোধ ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, যাতে সমাজে কোনো প্রকার বিভেদ বা বিদ্বেষের সৃষ্টি না হয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজ গড়তে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। সরকার ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ ধর্মের মূলনীতিগুলো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে।’
এ সময় তিনি সকলকে উগ্রবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানান এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
পরে ধর্ম উপদেষ্টা ডাঙ্গিপাড়া আল জামিয়া আস সালাফিয়্যাহ এবং নওদাপাড়ায় আল মারকাজুল ইসলামি আস সালাফি পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কার্যালয়ে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর তিনি রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কার্যালয়ে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শত্রু। তারা অপরাধী। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে।’
শনিবার সকালে রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিদর্শন ও সুধী সমাবেশে যোগদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় স্থানীয় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি মাদ্রাসা ছাত্রদের সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেওয়া হবে। যেন কোনো ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদ্রাসা ছাত্ররা কোনো জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিল না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।’
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন নিয়ে ভাবা হচ্ছে না জানিয়ে ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিতর্ক সৃষ্টি করে এমন কিছু অন্তর্র্বতী সরকার করবে না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের ওপর ভারতে হামলার খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পটপরিবর্তনের পর কিছু সনাতন ধর্মাবলম্বীর বাড়িতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়িতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।