বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ইমোজির ব্যবহার এখন হরহামেশাই করে থাকি আমরা। খুব সহজেই মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারি ইমোজির মাধ্যমে। কিন্তু এই ইমোজির অর্থ নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি যেন থেকেই যায়। প্রেরক যে অর্থে ব্যবহার করে থাকেন, প্রাপক তা ভিন্ন অর্থে নেন অনেক সময়। এতে যোগাযোগে বাধতে পারে গোলযোগ। অনেক বড় বিপত্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে সাধারণ একটি ইমোজি।
কানাডায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ২০২১ সালে। ওই বছর খাদ্যশস্য কিনতে কানাডার সাসকাচুয়ান প্রদেশের কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুইফট কারেন্টের দ্বারস্থ হন এক ক্রেতা। শস্য কিনতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তিও হয়। এরপর ইন্টারনেটে ওই চুক্তিপত্রের একটি ছবি পাঠান সুইফট কারেন্টের মালিক ক্রিস আচটারের কাছে। আচটার ওই চুক্তিপত্রের জবাবে শুধু একটি ‘থাম্বস আপ’ (বৃদ্ধাঙ্গুল উঁচিয়ে দেখানো) ইমোজি দেন।
সেখান থেকেই হয় বড় এক বিপত্তি। এই ইমোজির ভিন্ন অর্থ বুঝে নেন প্রাপক। ইমোজি দেখে ওই ক্রেতা ভেবেছিলেন, আচটার ওই চুক্তিতে রাজি হয়েছেন।
কিন্তু আচটারের দাবি, থাম্বস আপ ইমোজি দিয়ে তিনি শুধু বুঝিয়েছিলেন, ওই চুক্তিপত্রটি তিনি হাতে পেয়েছেন।
এই ধারণা থেকেই খাদ্যশস্য পাওয়ার আশায় ছিলেন ক্রেতা। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও না পাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
থাম্বস আপ ইমোজির আসল অর্থ উদ্ধারে হয় তদন্ত। শেষে ক্রেতার পক্ষেই রায় দেন আদালত।
খাদ্যশস্য না পাওয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ সুইফট কারেন্টের মালিক আচটারকে ৬১ হাজার ৭৮৪ ডলার জরিমানা করা হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৬৬ লাখ টাকার বেশি।
রায়ে বলা হয়, আগেও চুক্তি অনুমোদনের জন্য আচটার থাম্বস আপ ইমোজি ব্যবহার করেছিলেন। এবারও একই উদ্দেশ্যে এই ইমোজি দিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়। চুক্তিতে যে স্বাক্ষর করার দরকার ছিল, তা আচটার ও তার মোবাইল ফোন থেকে পাঠানো থাম্বস আপ ইমোজির মাধ্যমে পূরণ হয়েছে।
https://inews2.zoombangla.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ac%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d/
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।