আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে চরম বিদ্বেষী নীতির অংশ হিসেবে ইরানের আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় হাস্যকর দাবি করে বলেছে, এই আট ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করেছে। খবর পার্সটুডে’র।
ওই মন্ত্রণালয় একইসঙ্গে সিরিয়ার কয়েকজন কর্মকর্তা ও উগান্ডার একজন কর্মকর্তাকেও নিজের নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা শুরু থেকেই স্বাধীনচেতা ও পুঁজিবাদ বিরোধী দেশগুলোকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে ‘মানবাধিকার’কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এর আগেও বিভিন্ন অজুহাতে ইরানের বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আমেরিকা এমন সময় ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যখন জো বাইডেন প্রশাসন দাবি করছে, তারা ভিয়েনা সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে চায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত কয়েক মাসে বহুবার বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান। কিন্তু এ ব্যাপারে বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে তারা বিরত রয়েছেন।
এদিকে একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে ইরান একথা বলে এসেছে যে, যেহেতু আমেরিকা আগে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে তাই তাকে আগে এই সমঝোতায় ফিরে এসে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ কাজ করা হলে তেহরানও ওই সমঝোতায় দেয়া নিজের প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।