ইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে; যা মাস্কের ব্যবসাগুলোয় বিশেষ সুবিধা এনে দেবে। মাস্কের কোম্পানিগুলো যেমন স্পেসএক্স ও টেসলা, সরকারের সঙ্গে বড় চুক্তি পেয়েছে। এতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন—এই জোট সরকারি নীতির ওপর মাস্কের প্রভাব বাড়াতে পারে।
মহাকাশে স্পেস-এক্সের মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো আধিপত্যের জন্য প্রতিযোগিতা করছে। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি বেসরকারি মহাকাশ উদ্যোগগুলোর সমর্থনে প্রস্তুত, যা ইলন মাস্কের মহাকাশ অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলে। স্পেসলিঙ্কের মতো স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) নেটওয়ার্ক শিগগিরই বৈশ্বিক কোয়ান্টাম যোগাযোগ গঠন করবে।
এই জোটের কারণে মহাকাশে একচেটিয়া মার্কিন প্রভাব বাড়তে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলো মাস্ককে সরকারি চুক্তি এবং সম্পদ বাড়াতে বিশেষ সুবিধা দিতে পারে। একই সঙ্গে স্পেস-এক্সকে মহাকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করবে। ফলে মাস্ক যোগাযোগ এবং এআই পরিষেবার জন্য অপরিহার্য স্যাটেলাইটগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ পাবেন, যা বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলবে।
স্পেসলিঙ্কের মাধ্যমে কোয়ান্টাম যোগাযোগ: মহাকাশে নিরাপদ কোয়ান্টাম প্রযুক্তির যোগাযোগ চ্যানেলগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে তথ্য নিয়ন্ত্রণে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বৈশ্বিক তথ্য প্রবেশাধিকার সম্পর্কিত প্রভাব থাকবে এর সঙ্গে। অন্যান্য দেশ ইলন মাস্কের মালিকানাধীন নেটওয়ার্কগুলোর ওপর নির্ভরশীল হতে পারে, যা তথ্য সুরক্ষাকে সরকারি নজরদারি থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে যাবে।
পরিবারের ওপর প্রভাব: মহাকাশ অবকাঠামোর বেসরকারীকরণ তথ্য ও যোগাযোগের নিয়ন্ত্রণ যখন কয়েকটি করপোরেশনের হাতে, এটি বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত এবং শিক্ষাগত তথ্যে প্রবেশাধিকার প্রভাবিত করবে। মা–বাবার উচিত বৈশ্বিক তথ্যপ্রবাহের ওপর বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃত্ব নিয়ে চিন্তা করা। পাশাপাশি শিশুদের ডিজিটাল গোপনীয়তা এবং অধিকারগুলোর ওপর যেকোনো ধরনের প্রভাব নিয়ে সচেতন থাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।