জুমবাংলা ডেস্ক: ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর নদীতে ইলিশ ধরতে নেমেছে জেলেরা। জালও ফেলেছেন ইলিশের আশা নিয়ে। কিন্তু জালে উঠছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাশ! তাও বড় বড়। ছোট সাইজের পাঙ্গাশও ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের।
একই সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ কেজির পাঙ্গাশও উঠছে জালে।
এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে ভোলার মেঘনা নদীতে। তবে ইলিশের বদলে বড় বড় পাঙ্গাশ পেয়ে বেশি খুশি জেলেরা। নদীর পাঙ্গাশে সয়লাব ভোলার মাছঘাট ও বাজার।
এদিকে মেঘনাতীরের ঘাটগুলোতে বড় বড় পাঙ্গাশ মাছ কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ভোলার ইলিশা, কাচিয়া কাঠির মাথা, ধনিয়া তুলাতুলি, ভোলার খাল ও নাছির মাঝি মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে পাঙ্গাশ ক্রেতার ভিড়। ডাকে উঠছে বড় পাঙ্গাশ। ছোটগুলো বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে।
দামেও ইলিশের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে নদীর পাঙ্গাশ। প্রতি কেজি মাছের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বড় ইলিশের দাম ভালো হলেও ধরা পরছে কম। কেজির ইলিশের হালি (৪ টি) তিন হাজার থেকে চার হাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাই পাঙ্গাশেই লাভ বেশি হচ্ছে জেলেদের।
মেঘনা নদীর কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অভিযান শেষ হওয়ার প্রথম দিন থেকেই জেলেদের জালে প্রচুর পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ছে। আর দাম পাচ্ছেন ভালো। এতে তারা অনেক খুশি। ওজন ভেদে একেকটি পাঙাশ ঘাটে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো কোনোটি এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে তার সংখ্যা অনেক কম।
তুলাতুলি মাছ ঘাটে মাছ কিনতে আসা স্কুলশিক্ষক মো. পলাশ জানান, তিনি ইলিশ মাছ কেনার জন্য সকালে ঘাটে এসেছেন। কিন্তু ঘাটে এসে প্রচুর পাঙ্গাশ মাছ দেখে এক হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে চার কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ কিনেছেন।
ধনিয়া ইউনিয়নের জেলে রহমান মাঝি জানান, তিনি গত শনিবার নদীতে গিয়ে একদিনে ২৯টি বড় পাঙ্গাশ পেয়েছেন। পরে সেগুলো ঘাটে এনে ডাকে প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
তুলাতুলি মাছ ঘাটের বেপারী মো. খোকন জানান, তিনি স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য রবিবার প্রায় ১০ হাজার টাকা দিয়ে তিনটি পাঙ্গাশ কিনেছেন। ঘাটে প্রচুর পরিমাণে পাঙ্গাশ মাছ আসছে। দামও মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
ঘাটের আড়ৎদার মো. রফিউদ্দিন বেপারী বলেন, গত তিন দিনে এ ঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক পাঙ্গাশ মাছ এসেছে। ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার পাঙ্গাশ বেচা-কেনা হয়েছে ঘাটে। আমি এ পর্যন্ত ৮০-৯০টি পাঙ্গাশ কিনে মোকামে (ঢাকা-চাঁদপুর) পাঠিয়েছি।
ভোলা সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, এ বছর অভিযান চালিয়ে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও পাঙ্গাশের পোনা ধ্বংশ করার চাই জব্দ করা হয়েছে। যার কারণেই নদীতে পাঙ্গাশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও মা ইলিশ রক্ষা অভিযানও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় দীর্ঘ দিন নদীতে কোনো জাল ছিল না। তাই অভিযান শেষে জেলেদের জালে প্রচুর পাঙ্গাশ ধরা পড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।