ইলেকট্রিক যানবাহনের (EV) টায়ার বা বদলানোর খরচ গ্যাসোলিন গাড়ির তুলনায় বেশি। নতুন এক সেট ইভি টায়ারের দাম পড়তে পারে ১৫০ থেকে ৩০০ ডলার প্রতি টায়ার। এসব টায়ার গড়ে মাত্র ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মাইল টিকে। এই তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।
গাড়ির অতিরিক্ত ওজন এবং দ্রুত গতিশীলতার কারণে ইভি টায়ার দ্রুত ক্ষয় হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতানুগতিক গাড়ির তুলনায় ইভি টায়ার ২০% দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ কারণে মোট খরচ বেড়ে যায়।
কেন ইলেকট্রিক গাড়ির টায়ার দ্রুত ক্ষয় হয়?
ইলেকট্রিক গাড়িতে ব্যবহৃত ব্যাটারি খুবই ভারী। এই ওজন টায়ারের উপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। ত্বরণও হয় খুব দ্রুত। ফলে টায়ারের রাব্দার দ্রুত ক্ষয় হয়।
এছাড়া, টায়ার ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা। কম ঘর্ষণ এবং কম শব্দ তৈরির জন্য বিশেষ টায়ার ব্যবহার করা হয়। এই ডিজাইনও টায়ারের স্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।
ইভি টায়ার বদলাতে গড়ে কত খরচ?
প্রতি ১,০০,০০০ মাইলের জন্য আপনাকে টায়ার বদলাতে হবে দুই থেকে তিনবার। প্রতি টায়ারের দাম ধরলে ৩০০ ডলার। তাহলে চারটি টায়ার তিনবার বদলানোর মোট খরচ দাঁড়ায় ৩,৬০০ ডলার।
গ্যাসোলিন গাড়ির টায়ার ৫০,০০০ থেকে ৭০,০০০ মাইল টিকে। সেক্ষেত্রে খরচ পড়ে অনেক কম। ইভি টায়ারের উচ্চমূল্য এবং কম স্থায়িত্ব মিলিয়ে মোট মালিকানা খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ব্যবহারকারীদের জন্য পরামর্শ
ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সময় টায়ার খরচ হিসাব করে নিন। কিছু ব্র্যান্ড দীর্ঘস্থায়ী টায়ার অফার করে। সেগুলো বেছে নিতে পারেন। নিয়মিত টায়ারের চাপ পরীক্ষা করলে স্থায়িত্ব বাড়ে।
ইলেকট্রিক গাড়ির টায়ারের উচ্চ খরচ এবং দ্রুত ক্ষয় হওয়া মালিকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই খরচ মাথায় রেখেই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
জেনে রাখুন-
Q1: ইলেকট্রিক গাড়ির টায়ার কত দিন চলে?
গড়ে ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মাইল পর্যন্ত চলে।
Q2: ইভি টায়ার কেন দ্রুত ক্ষয় হয়?
গাড়ির বেশি ওজন এবং দ্রুত ত্বরণের কারণে টায়ার দ্রুত ক্ষয় হয়।
Q3: গ্যাসোলিন গাড়ির টায়ারের তুলনায় ইভি টায়ার কতটা দ্রুত ক্ষয় হয়?
গড়ে ২০% দ্রুত ক্ষয় হয় ইভি টায়ার।
Q4: ইভি টায়ারের দাম কত?
প্রতি টায়ারের দাম ১৫০ থেকে ৩০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
Q5: টায়ারের স্থায়িত্ব বাড়ানোর উপায় কী?
নিয়মিত টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুন এবং агрессив ড্রাইভিং এড়িয়ে চলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।