আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের লেজার অস্ত্র। ইসরায়েলি উপকূলে মোতায়েন করা মার্কিন রণতরী ইউএসএস ফোর্ডে সম্প্রতি সংযুক্ত করা হয়েছে এই মারণাস্ত্র। যেকোনো ধরনের বিমান, ড্রোন কিংবা মিসাইলকে খুব সহজেই ধ্বংস করা যায় লেজার অস্ত্র দিয়ে। প্রতিবার এই অস্ত্র ব্যবহারে খরচ হয় মাত্র ১০ ডলার। যেখানে আকাশ প্রতিরক্ষায় ব্যবহৃত একেকটি মিসাইলে খরচ হয় ১ কোটি ডলার পর্যন্ত। খবর রয়টার্সের।
এই লেজার অস্ত্রটি প্রথম দেখায় সাইফাই চলচ্চিত্র দৃশ্যের কোনো কাল্পনিক অস্ত্র বলে মনে হলেও বাস্তবেই ততোটাই ভয়ঙ্কর এই অস্ত্র। ইসরায়েলি ভুখণ্ডে হামাসের অভিযানের পরই দেশটির উপকূলে দুটি রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই একটি ইউএএস ফোর্ড। বিমানবাহী রণতরীটির নিরাপত্তা এবং ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে এই লেজার অস্ত্র।
এই লেজার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোটাই পরিচালিত হয় কয়েকটি ধাপে। রাডারে আকাশসীমায় কোনো হুমকি পাওয়া গেলে সেটি শনাক্ত করা হয় প্রথমে। এরপর উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন লেজার নিক্ষেপ করা হয় টার্গেট লক্ষ্য করে। এর এক আঘাতে সহজেই ধ্বংস করা যায় যুদ্ধবিমান, রকেট, মর্টার এবং ড্রোন।
প্রতিবার এসব লেজার অস্ত্র ব্যবহারে খরচ হয় সর্বোচ্চ ১০ ডলার। অথচ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় মিসাইল ব্যবহারে খরচ ছাড়িয়ে যায় ১ কোটি ডলার পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান থেকে চালানো হামলা ঠেকাতে মোতায়েন করা হয়েছে এই লেজার অস্ত্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।