আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দেলআতিফ আল-জায়ানি অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল সফরে গেছেন। বুধবার তেল আবিবের বেন গুরিও বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি। খবর রয়টার্স’র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় বাহরাইন। এরপর দেশটিতে বাহরাইনের কোনও মন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর।
বাইরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে ‘পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির কৌশলগত যাত্রার শুরু’ বলে মন্তব্য করেছে।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে গ্রহণোযোগ্য সমাধানের জন্য নতুন নীতি খোঁজার।’
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশকেনাজি এক টুইটে এই সফরকে এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার এক নতুন যুগ বলে উল্লেখ করেছেন।
বুধবার জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বিদায়ী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও-র সঙ্গে বৈঠক করবেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রয়ভেন রিভলিন আবুধাবির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়াদ আল-নাহিয়ানকেও ইসরায়েল সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আল-নাহিয়ানকেই আরব আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা বা ‘অঘোষিত শাসক’ বলে মনে করা হয়।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউজে মার্কিন মধ্যস্ততায় বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ফিলিস্তিন ইস্যুতে গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এতোদিন এই নীতিতে অটল ছিল। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি বলয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত বাহরাইন ও আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনায় পরিচিত দৃশ্যপট বদলে যেতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সৌদি আরবসহ আরও অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে। তবে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নিজেই পরাজিত হয়েছেন। ফলে ট্রাম্পের প্রভাব ব্যবহার করে অন্য দেশগুলোর স্বীকৃতি আদায়ে ইসরায়েল কতটা সমর্থ হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।