আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইহুদি শিশুদের ফোন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ডিলিট করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পেয়েছেন অভিভাবকরা। হামাসের হামলার পর জিম্মি হওয়া মানুষদের ভিডিও শিশুদের মানসিক যন্ত্রণা দেবে- এই উদ্বেগ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করা হচ্ছে। এ জন্য তেল আবিবের বেশ কয়েকটি স্কুল গত সপ্তাহ থেকে অভিভাবকদের কাছে এই বার্তা জানাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির স্কুলগুলোও অভিভাবকদের ইমেইল পাঠিয়ে শিশুদের ফোন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ডিলিট করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ইমেইলে বলা হয়েছে, স্থানীয় মনোবিদরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করে জানায় ইসরায়েলি সরকার শিশুদের ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক অ্যাকাউন্ট দ্রুততার সঙ্গে ডিলিট করতে বলেছে।
নিউইয়র্কের আরেকটা স্কুল অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই ভিডিওগুলো কীভাবে এড়িয়ে চলতে হবে ও এ ধরনের মিডিয়ার সম্মুখীন হলে কি করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
এই হামলার শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার নৃশংস ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তেল আবিবের স্কুল প্যারেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, জিম্মিদের বাঁচার জন্য আকুতিমূলক ভিডিও দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিভাবকেরা বলছেন, বাচ্চাদের এ ধরনের কনটেন্ট দেখতে দিতে চান না। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এসব কনটেন্ট সরানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
‘ইসরায়েলিকুল’ নামের ইসরায়েলের ওকালতি গ্রুপের ডেভিড ল্যাঙ্গ বিবিসিকে বলেন, তার মেয়ের স্কুল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং অভিভাবকদের শিশুদের ফোন থেকে টিকটক অ্যাপ বন্ধ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনা যুক্তরাজ্যের কিছু স্কুলেও দেওয়া হচ্ছে। কিছু ইহুদি স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘একটি কঠিন ও স্পর্শকাতর বিষয়’ কারণ সবাই এটি সবসময় ব্যবহার করে।
অ্যাপগুলো একবারে বন্ধের চেয়ে কোন ধরনের কনটেন্ট দেখছে সে বিষয়ে অভিভাবকদের শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন।
যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি বিষয়ক সচিব মিশেল ডোনেলান গুগল, মেটা, এক্স, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মত প্ল্যাটফর্মের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি প্ল্যাটফর্মে অবৈধ কনটেন্ট যা তাদের নীতিমালা বিরোধী সেসব সরানোর নির্দেশনা দেন।
মিশেল বলেন, টেক জায়ান্টদের এ বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা জানানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম বিবিসির প্রতিবেদককে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেননি ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।