জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে গতকাল চালু হয়েছে পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ‘ই-কার’। এই উদ্যোগটি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন একটি সুবিধা নিয়ে আসছে যা ভিতরের যাতায়াতকে আরও সহজ এবং আরামদায়ক করবে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে এই নতুন পরিবহন ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি প্রকল্প নয়, বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গির একটি নতুন ছাপ।
Table of Contents
ই-কারের পরীক্ষা এবং ফলাফল
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিন থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করা ৪টি ই-কার। শনিবার পর্যন্ত এই গাড়িগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলবে, পরবর্তীতে যদি এটি সফল হয়, তাহলে জুন মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০টি ই-কার দিয়ে যাত্রীসেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। চবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “যদি এটি সফল হয়, তাহলে আগামী জুন মাস থেকে ২০টি ই-কার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীসেবা চালু করা হবে।”
ড. কামাল আরও জানান যে, ই-কারগুলো মঙ্গলবার ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। এটি সফলভাবে পরিচালিত হলে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা এবং মতামত অনুযায়ী তারা এই সেবা গ্রহণ করবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেবে।
পরিবেশগত সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই উদ্যোগের মাধ্যমে চবি ক্যাম্পাসে পরিবেশ দূষণ কমানোর আশা করছে। ই-কার চালু হলে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত আরও সহজ ও আরামদায়ক হবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি প্রচলনের মাধ্যমে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা সম্ভব হবে। এটি কেবল পরিবেশের জন্য নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্যও একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের মতামত নেওয়া হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে নতুন সেবা তাঁদের জন্য যথার্থ এবং কার্যকর হবে।
ই-কার ব্যবহারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিকল্পনা করছে যে যদি পরীক্ষামূলক চলাচল সফল হয়, তবে তারা আরও বেশি ই-কার অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেবে। এটি হবে ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। এছাড়াও, প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটানো যাবে।
এক্ষেত্রে একাডেমিক সংস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে সমন্বয় সাধন করা হবে। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে নয়, বরং দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি রোল মডেল হিসেবে কাজ করবে।
নগদে ‘প্রশাসক’ নিয়োগ নিয়ে রিট খারিজের রায় চেম্বার আদালতে ‘স্থগিত’
অধিক তথ্যের জন্য, পরিবেশ এবং পরিবহন উন্নয়নের উপর আরও জানুন এখানে.
ই-কারের চলাচল কার্যক্রম সফল হলে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ই-কার সেবাটি নিশ্চিত করে যে শিক্ষার্থীরা কিভাবে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারবে এবং তাদের জীবনযাপনকে আরও সহজ করবে।
সাধারণ তথ্য
শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আদর্শ পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে শীঘ্রই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং লজিস্টিক নিয়মাবলী তৈরি করা হবে। এর মানে হলো শিক্ষার্থীদের একটি সহজ, নিরাপদ এবং কার্যকরী যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে যে দর্শনীয় ই-কার সেবা শীতল আবহাওয়াতেও কার্যকরভাবে কাজ করবে।
এই পরীক্ষামূলক চালনার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরেকটি নতুন অধ্যায় খুলতে যাচ্ছে। শিক্ষা, উন্নয়ন ও প্রযুক্তির এক সুহৃদ সম্পর্ক গড়ে তোলার এই প্রচেষ্টা আমাদের যুব সমাজের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়তা করবে।
প্রশ্ন ও উত্তর
- ই-কার কী?
ই-কার হলো একটি বৈদ্যুতিক পরিবহন ব্যবস্থা, যা পরিবেশ বান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিতে পরিচালিত হয়। - কবে থেকে ই-কার পরীক্ষা হচ্ছে?
পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৩ মে থেকে এবং চলবে দুই দিন ধরে। - এই সেবার জন্য শিক্ষার্থীদের মতামত কিভাবে নেওয়া হবে?
পরীক্ষামূলক চলাচলের সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মতামত নেওয়া হবে। - কী সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা?
শিক্ষার্থীরা ই-কারের মাধ্যমে সহজে এবং আরামে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারবেন। - এটি কি পরিবেশের উপকারে আসবে?
হ্যাঁ, ই-কার চালু হলে পরিবেশ দূষণ কমবে এবং ক্যাম্পাসের পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।