বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : যতই দিন যাচ্ছে; ততই উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। সেই সঙ্গে উন্নত হচ্ছে আমাদের জীবনমান। প্রযুক্তির দুনিয়ায় একের পর এক আবিষ্কার চমকে দিচ্ছে বিশ্বকে। কয়েকদিন আগেই গুগল ঘোষণা দিয়েছিল তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকবে না আর সিম স্লট। একথা বিস্ময় জাগিয়েছিল অনেকের মনে। তাহলে যোগযোগ হবে কীভাবে?
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ই-সিম ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা। একই সঙ্গে এক থেকে পাঁচটি পর্যন্ত সিম ব্যবহার করা যাবে ই-সিমে। এর জন্য যেমন অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সিমের জায়গা বেচে যাচ্ছে; তেমনই একাধিক সিম কেনার খরচও বাচবে আপনার।
বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে গ্রামীণফোনের ই-সিম। প্রিপেইড (নিশ্চিন্ত), পোস্টপেইড (মাই প্ল্যান), মাইগ্রেশন (প্রিপেইড এবং পোস্টপেইড) তিনভাবেই পাওয়া যাবে গ্রামীণফোনের ই-সিম। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ই-সিমের ব্যবহার বেড়ে হবে ৩.৪ বিলিয়ন।
প্রাথমিক ভাবে আইফোন, স্যামসাং ও গুগল পিক্সেলের নির্ধারিত কিছু মডেলের স্মার্টফোনে গ্রামীণফোনের ই-সিম ব্যবহার করা যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ই-সিম আসলে কী এবং এর সুবিধা-অসুবিধাগুলো-
ই-সিম হচ্ছে ফোনে ইনস্টল করা ভার্চুয়াল সিম। ই-সিমের পুরো নাম এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল। এটি ফিজিক্যাল সিম কার্ডের মতো নয়। আপনি একটি ই-সিম কিনলে কলিং ও মেসেজিংসহ সব কাজই করবে। তবে আপনাকে এটি ফোনে রাখতে হবে না। এটি টেলিকম কোম্পানির মাধ্যমে ওভার-দ্য-এয়ার সক্রিয় থাকে।
ই-সিমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি যদি সিম কোম্পানি পরিবর্তন করেন। তবে আপনাকে সিম কার্ড পরিবর্তন করতে হবে না। এমনকি ফোন ভিজে গেলেও এ সিমের কোনো সমস্যা হবে না। বারবার খোলার ঝামেলাই যেহেতু নেই, তাই এ সিম নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।