জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে। মঙ্গলবার (৩ জুন) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি
ঈদের ১০ দিনের ছুটিকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল করে সব সদস্যদের মাঠে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজি রোধে সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যেই চাঁদাবাজি করুক না কেন, রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল করার অন্যতম কারণ হিসেবে এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অতিরিক্ত ভাড়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
ফিটনেসবিহীন যানবাহনের চলাচল ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রতিরোধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ উদ্যোগে পরিবহন মালিকরাও একমত হয়েছেন।
যাত্রীবেশে ডাকাতি ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ
বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনা ঠেকাতে যাত্রী ওঠার সময় ছবি তোলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এসব নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল করে সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। চাঁদাবাজি, অতিরিক্ত ভাড়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও ডাকাতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতা চলবে ঈদের ছুটিজুড়ে।
বঙ্গবন্ধুসহ মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা
FAQs: ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল
প্রশ্ন ১: ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল কেন করা হয়েছে?
উত্তর: দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ২: এই সিদ্ধান্তের আওতায় পুলিশ সদস্যদের কী ভূমিকা থাকবে?
উত্তর: তারা সারাদেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকবেন এবং ঈদ চলাকালীন পুরো সময় মাঠে কাজ করবেন।
প্রশ্ন ৩: অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি আদায় ঠেকাতে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে পরিবহন মালিকদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে।
প্রশ্ন ৪: ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজি রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্ন ৫: যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
উত্তর: বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তোলার মাধ্যমে শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রশ্ন ৬: ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে কী করা হবে?
উত্তর: ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং নিয়ম না মানলে জরিমানা বা চলাচল নিষিদ্ধ করা হবে।
