Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ঈদুল আজহা : শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রম
    ইসলাম ধর্ম

    ঈদুল আজহা : শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক কার্যক্রম

    June 13, 20245 Mins Read

    বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিত মওলানা ওয়াহিদুদ্দিন খানকে মুসলিমদের ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহার তাৎপর্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। মওলানার সহজ ভাষায় দেওয়া উত্তরগুলো আমরা আমাদের শিশুদের বোঝানোর জন্য ব্যবহার করতে পারি)

    ঈদুল আজহা

    ঈদুল আজহা কী? কখন এটি উদযাপন করা হয়?

    ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। আমরা একে ‘কুরবানির’ কিংবা ‘বকরি’ ঈদও বলে থাকি। প্রতি বছর হিজরি ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।

    এই দিনে কীভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা ও সম্ভাষণ জানায়?

    এই দিনে লোকেরা একে অপরকে ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানায়। এর অর্থ হলো, আপনার ঈদ শুভ হোক! এর আরেকটি অর্থও হতে পারে: আপনার ঈদ আনন্দময় হোক!

    ঈদুল আজহার দিনে মুসলমানরা তাদের ঘর থেকে বের হয়ে কোনো মসজিদ কিংবা ময়দানে সমবেত হয়, একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে। এ সময় তারা ‘আসসালামু আলাইকুম’ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বলে শুভেচ্ছা জানায়।

    মুসলমানরা তাদের প্রতিদিনের প্রার্থনা (নামাজ) এই বলে শেষ করে: ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ (আপনার ওপর আল্লাহর শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষিত হোক)! এই দোয়াটি উচ্চারণ করার সময় মুসলমানরা তাদের মাথা ডানে এবং বাম দিকে ঘুরিয়ে নেয়; আর এভাবে তারা সারা বিশ্বের মানবজাতির কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়।

    ঈদুল আজহার পেছনের কোন কাহিনীটি আমরা আমাদের শিশুদের বলতে পারি?

    নবী ইব্রাহিম (আ.) একদিন একটি স্বপ্ন দেখলেন যে তিনি বালক পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করছেন। দৃঢ়ভাবে আল্লাহতে বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি হিসেবে ইব্রাহিম (আ.) তার স্বপ্নকে আক্ষরিক অর্থে আল্লাহর পক্ষ থেকে আদেশ হিসেবে নিলেন; এবং তার ১০ বছর বয়সী পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

    বর্ণিত আছে যে, সেই সময় সর্বশক্তিমান আল্লাহ ফেরেশতা পাঠিয়ে তার পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণীকে কুরবানি দিতে বলেন। কিন্তু আল্লাহর পরিকল্পনা অনুসারে নবী ইব্রাহিমকে (আ.) আরও একটি ত্যাগের পরীক্ষা দিতে হয়- তার স্ত্রী ও পুত্রকে মক্কার কাছাকাছি জনবসতিহীন এক মরুভূমিতে রেখে আসতে বলা হলো। নিঃসন্দেহে এটি ছিল পুরো পরিবারের দিক থেকে একটি বিশাল ত্যাগের ব্যাপার।

    পরবর্তীতে আরবের মরুভূমিতে ইব্রাহিমের (আ.) পরিবারের সেই বসতিস্থাপনের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।

    মাতা-পুত্রের নির্বাসিত জীবনে বেশ কয়েক বছর কেটে গেল। একদিন একটি কাফেলা ওই এলাকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ইসমাইল সেই কাফেলার একটি মেয়েকে বিয়ে করেন; আর এভাবেই একটি নতুন প্রজন্ম ও বংশধারার সূচনা হয়।

    আল্লাহ চেয়েছিলেন, প্রকৃতির পরিবেশে একটি নতুন প্রজন্মের জনগোষ্ঠী বেড়ে উঠুক যারা হবে অপকর্ম, অনৈতিকতা এবং শহুরে বস্তুবাদীতা থেকে মুক্ত। এই বংশধারা থেকেই পরবর্তীকালে মহানবি মুহাম্মদের (সা) জন্ম হয়। আর এই বংশধারার লোকেরাই মুহাম্মদের (সা) বাণী গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে বিশ্বে একটি শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন।

    ৪০০০ বছর আগে ঘটে যাওয়া অল্প কিছু মানুষের সেই আত্মত্যাগের ঘটনার একটি প্রতীকী স্মরণই হলো ঈদুল আজহা।

    এই উৎসব কতদিন চলে?

    আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য জীবনে একবারের জন্য মক্কায় গিয়ে হজ করা ধর্মীয়ভাবে বাধ্যতামূলক। হজের শেষ দিনটিতে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। তবে কিছু মুসলমান তিন দিন ধরে এই ঈদ পালন করে থাকে।

    ঈদুল ফিতর থেকে এই (ঈদুল আজহার) উৎসবের পার্থক্য কোথায়?

    মুসলমানরা হিজরি ক্যালেন্ডারের রমজানে পুরো মাস জুড়ে রোজা রাখে। ঈদুল ফিতর হলো রোজা শেষ করার উৎসব। ঈদুল ফিতরও ঈদুল আজহার মতো। দুই ঈদেই মুসলমানরা জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে পরিবার প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত, উপহার বিনিময় এবং পানাহার করে। তবে ঈদুল ফিতরে কোরবানির ব্যাপারটি নেই।

    কুরবানির বিধিবিধান সম্পর্কে কিছু বলবেন? এটা কি বাধ্যতামূলক? পবিত্র কুরআন এ ব্যাপারে কী বলে?

    আক্ষরিক অর্থেই ঈদুল আজহা হলো ত্যাগের ঈদ। এই দিনে মুসলমানরা যে প্রাণী কুরবানি দেয় তা আসলে একটি প্রতীকী ত্যাগ যা আমাদের সারাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকৃত ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে ত্যাগ বলতে আমাদের অন্তরের ভেতরে থাকা বিদ্বেষ, ঘৃণা, অহংকার ইত্যাদি মন্দ প্রবণতা পরিত্যাগ করা বুঝতে হবে।

    কেউ যখন একটি প্রাণীকে কুরবানি দেয়, তখন তা তার মনের মধ্যে এক গভীর আধ্যাত্মিক অনুভূতির সৃষ্টি করে— তাকেও আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য নিজের মন্দ প্রবণতা এবং খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সুতরাং প্রাণী কোরবানির মধ্য দিয়ে একজন বিশ্বাসী ব্যক্তি আল্লাহর জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে নিজের ইচ্ছার ব্যাপারটি প্রকাশ করে।

    কুরবানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আছে- “আল্লাহর কাছে ওগুলোর না গোশত পৌঁছে, আর না রক্ত পৌঁছে; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।” [২২:৩৭] অর্থাৎ কেবল একটি প্রাণীকে জবাই করে বাহ্যিকভাবে ধর্মীয় আচার পালন করলেই হবে না, এর অন্তর্নিহিত চেতনাকে ধারণ করাটাই মুখ্য। আর এই চেতনার মূলে রয়েছে ব্যক্তির আধ্যাত্মিক ও ধার্মিক জীবন।

    কুরবানি নিয়ে বিভিন্ন মাজহাবের মতভেদ রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে বহুলভাবে প্রচলিত হানাফি মাজহাব অনুসারে, কুরবানি করা বাধ্যতামূলক (ওয়াজিব)। তবে অন্য মাজহাবগুলো এটিকে একটি ভালো কাজ (সুন্নত) হিসাবে বিবেচনা করলেও তা বাধ্যতামূলক (ওয়াজিব) হিসেবে বিবেচনা করে না।

    ঈদুল আজহার ধর্মীয় আচার সম্পর্কে বলুন

    ঈদুল আজহার দিনে মুসলমানরা মূলত দুটি কাজ করে: মসজিদে কিংবা ময়দানে গিয়ে সমবেতভাবে প্রার্থনা করে এবং একটি প্রাণী কোরবানি দেয়। এই দুটি বিষয়ই ত্যাগের মূল চেতনাকে প্রতিফলিত করে। আর এই চেতনার মূলে রয়েছে আধ্যাত্মিকতা এবং আত্মোৎসর্গের সংমিশ্রণ। প্রার্থনা হলো আধ্যাত্মিকতার বহিঃপ্রকাশ; আর ত্যাগ হলো আত্মোৎসর্গের অভিব্যক্তি।

    কুরবানির প্রাণীর মাংস সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এক-তৃতীয়াংশ পরিবারের জন্য, আরেক তৃতীয়াংশ আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের জন্য এবং অবশিষ্ট তৃতীয়াংশ গরিব ও অনাথদের দেওয়া হয়। তবে সমস্ত মাংস নিজের কাছে রাখবে না কি গরিবদের বিলিয়ে দেবে তা পুরোটাই ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।

    ঈদুল আজহা থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি? ছোটদের জন্য কী বার্তাই বা দিতে পারি?

    সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা মানবজাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। ঈদ আমাদের জন্য সে সুযোগ তৈরি করে দেয়। ঈদের দিন মানুষ একে অপরের সাথে মিলিত হয়, পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানায়, উপহার ও মিষ্টি বিনিময় করে।

    কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের সঙ্গে নাটক বয়কট না করার আহ্বান কাজল আরেফিনের

    এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যেও একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও সংহতির ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। ঈদ সমাজের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সহাবস্থান স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আজহা ইসলাম ঈদুল ঈদুল আজহা কার্যক্রম জন্য ধর্ম প্রভা শিক্ষামূলক শিশুদের
    Related Posts
    জবি শিক্ষার্থীর ইসলাম গ্রহণ

    “হিন্দু পরিবারে জন্ম, এখন আমি আব্দুর রহমান”: জবি শিক্ষার্থীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণে হইচই

    May 24, 2025
    কোরবানি

    কার কার ওপর কোরবানি ওয়াজিব!

    May 24, 2025
    Qurbani

    কার সঙ্গে ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে না

    May 24, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    Press Secretary
    প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রেস সচিব
    Visa
    শেনজেন ভিসা প্রত্যাখ্যানের শীর্ষ ১০ দেশ
    Beef
    হার্টের রোগীদের কী পরিমাণ মাংস খাওয়া উচিত
    BTRC
    সিম নিবন্ধনের সীমা নিয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
    Muhammad Yunus
    Yunus Gains Full Political Backing as Bangladesh Prepares for Crucial Elections
    OnePlus
    প্রকাশ্যে এল দুটি দুর্দান্ত OnePlus স্মার্টফোনের স্পেসিফিকেশন, জানুন বিস্তারিত
    Release Of DOGE
    Supreme Court Temporarily Blocks Release Of DOGE Records Amid FOIA Dispute
    GOOGLE
    গুগলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নতুন বিপ্লব, এলো একগুচ্ছ নতুন ফিচার
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন
    এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এপ্রিলের বেতন কবে, জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
    train-advance-ticket
    ৪ জুনের টিকিট ২৫ মে: ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সর্বশেষ হালচাল
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.