লাইফস্টাইল ডেস্ক: ঈদের আগের রাতে হাতে মেহেদি লাগানো প্রচলন প্রায় শত বছরের। মূলত ঈদুল ফিতরের চাঁদরাতে মেয়েদের দলবেধে হাতে মেহেদি দেওয়ার আনন্দ আয়োজনটি ঈদুল আজহাতেও দেখা যায়। যদিও এই ঈদে ‘চাঁদরাত’ এর আমেজ খুব একটা পাওয়া যায় না। তারপরেও মেয়েরা মেহেদির রঙে দুহাত রাঙাতে পছন্দ করেন। কিন্তু কেমিক্যালযুক্ত নকল মেহেদি ব্যবহারে সর্তক থাকতে হবে।
ঈদের আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কেমিক্যালযুক্ত নকল মেহেদি বিক্রি করে থাকে। এসব মেহেদি ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, র্যাশ এমনকি ফোস্ক পরার ঘটনাও ঘটে। তাই মেহেদি কেনা ও ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে কোন কোন বিষয় প্রাধান্য দিবেন জেনে নিন।
# ভালো মেহেদির রং কখনও কালো হবে না। ভেজাল বা কেমিক্যাল যুক্ত মেহেদি ব্যবহারে হাতের রং কালো হতে পারে।
# নকল ও কেমিক্যালযুক্ত মেহেদি ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে অ্যালার্জি, র্যাশ এমনকি ফোস্কা পরার ঘটনাও ঘটতে পারে
# মেহেদির রং কিন্তু দুই-পাঁচ মিনিটে গাঢ় হবে না। অন্তত ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। যেসব মেহেদি বিজ্ঞাপনে বলবে পাঁচ মিনিটেই গাঢ় রং হবে তখন বুঝবেন ওই গুলোতে কেমিক্যাল দেওয়া।
# ফ্রিজে রাখা মেহেদি ব্যবহারের আগে অবশ্যই কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিবেন। তারপর হাতে লাগাবেন। এতে রং গাঢ় হবে। ত্বকও ভালো থাকবে। আর শিশুর কোমল হাত সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই মেহেদি পাতা বেটে লাগান।
মেহেদির কেনার সময় মেয়াদ দেখে নিবেন। বেশি পুরোনো হলে কিনবেন না। মেহেদি ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণ হাতে অথবা কানের পেছনে ব্যবহার করে দেখতে পারেন জ্বালাপোড়া বা চুলকাচ্ছে কিনা। মানে এতে অ্যালার্জি সমস্যা হলে ওই মেহেদি ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।