করোনার প্রায় চার মাস হতে চললো বাংলাদেশে। এই প্রাণঘাতী মহামারির ফলে রঙ হারিয়েছে ধর্মীয় উৎসব থেকে শুরু করে দেশীয় সকল উৎসব। মুসলমানদের বছরে দুটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। এই দুই ঈদে শহর থেকে গ্রামে যাওয়া মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকে বাস, লঞ্চ ও রেল পথে। তবে চলতি বছরের ঈদুল ফিতর কেটেছে উৎসব বিহীন। ঈদুল আজহাও একইভাবে কাটবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষজন।
কেননা, মানুষের আয়-রোজগার যেমন কমেছে, তেমনি ভাবে কমেছে গণপরিবহনের সংখ্যাও। সরকার সীমিত আকারে গণপরিবহন চালু করার অনুমতি দিলেও ঈদ যাত্রার জন্য তা যথেষ্ট না বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ঈদে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে যে ১৭টি ট্রেন চলছে সেই সংখ্যাই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াবো না। অন্যান্য বছর যেভাবে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় এবার তেমন হবে। স্বাভাবিকভাবে রেলের কার্যক্রম চলবে।
ঈদের সময় যদি যাত্রীর চাপ বেড়ে যায় তখন আপনারা কী করবেন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনার কারণে এবার সেই রকম হওয়ার সম্ভাবনা কম। যাত্রীর চাপ বাড়লেও আমাদের বিশেষ কোন পরিকল্পনা নেই।
এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এখন যে নির্দেশনা আছে, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার জন্য তখনও এই নির্দেশনা থাকলে আমরা পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবো। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি মজুদ রয়েছে। ঈদে বাসের সংখ্যা না বাড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন কঠিন হবে।
এবারের ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকার এ ব্যাপারে এখনো আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
এদিকে পরিবহণ মালিকরা বলছেন, তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের। জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে তারা যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।