জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ে করেও এবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে অন্যতম ‘ব্যাড বয়’ নাসির হোসেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এবার নাসির সব বিতর্কিত কাজ ছেড়ে থিতু হবেন। কিন্তু এই বিয়ে নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। নাসিরের স্ত্রী তামিমা তাম্মির এর আগে বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি নাসিরকে বিয়ে করেছেন! তামিমার সেই সংসারে ৯ বছরের একটি মেয়েও আছে। বিষয়টি নিয়ে তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসানের সঙ্গে কথা বলেছে দেশের জনপ্রিয় একটি দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে। রাকিব হাসান জানিয়েছেন তাদের বিয়ে এবং সংসারের গল্প।
রাকিব শুরু করেন এভাবে, ‘প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। সে আসলে আমাকে চাপ দিয়েই বিয়ে করেছিল। বলেছিল, তুমি বিয়ে কর নাহলে আমার আম্মা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। প্রথমে আমরা টাঙ্গাইলে কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম। পরে আমরা বিয়ে করি বরিশালে। আমার বউকেই দুইবার বিয়ে করেছি। এরপর সংসার শুরু করি। সংসার শুরুর পর যখন সে এএসসি পাস করে আমার কাছে আসল, দেখলাম তার রেজাল্ট ভালো। তখন আব্বা-আম্মা বলছিল, বউকে বেশি পড়ানোর দরকার নাই। বেশি পড়াইলে বউ উড়াল দিয়ে চলে যাবে। আমি আব্বু-আম্মুর সঙ্গে ঝগড়া করলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই সত্য হলো।’
কন্যার জন্মের ঘটনা উল্লেখ করে রাকিব বলেন, ‘আব্বা আমাকে বলছিল, তুমি যদি তাকে পড়াতে চাও তাহলে ঢাকা নিয়ে যাও। আমি তাকে ঢাকায় নিয়ে আসলাম। একটা শো রুমে ম্যানেজারের চাকরি নিলাম। সাবলেট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে লাগলাম। তাকে কুমুদিনীতে ভর্তি করলাম। সপ্তাহে একদিন ছুটি পেতাম। তাকে নিয়ে যেতাম কিংবা নিয়ে আসতাম। এর মাঝেই ও কনসিভ করে। তখন তার মা (রাকিবের শাশুড়ি) তাকে বুদ্ধি দিল, এখন বাচ্চা নিলে তো সংসার শেষ। তখন তারা (তামিমার পরিবার) তাকে নিয়ে গিয়ে এবরশন করল। এরপর সে যখন দ্বিতীয়বার কনসিভ করল, তখনও তার পরিবার এবরশন করতে বলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে, সেই মেয়েটা পৃথিবীতে এসেছে। এখন সে ৯ বছরের।’
‘এরপর সে (তামিমা) একটা চাকরি নিল। তখন আমরা উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে একটি বড় বাসা নেই। কয়েক মাস পর সে বাসা ভাড়া নিয়ে রাগারাগি করে চাকরি ছেড়ে দিল। তখন আবারও ১৪ নম্বর সেক্টরে আমার সাধ্যের মধ্যে একটা বাসা নিলাম। তখন সে বলল, আমার স্বপ্ন এয়ার হোস্টেজ হব; তুমি আমাকে হেল্প কর। তখন আমি বললাম, সমস্যা নাই। সে বলে, ‘তুমি তো আমাকে বিশ্বাস কর?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’। তখন সে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরির আবেদন করল। আমি তাকে প্রস্তুতির জন্য দুই-তিন লাখ টাকা খুব কষ্ট করে ম্যানেজ করে দিলাম। তাছাড়া সবরকমের হেল্প করলাম।’