ধূমকেতু হলো উল্কাবৃষ্টির উৎস। ধূমকেতু সাধারণত বেশ লম্বা উপবৃত্তাকার পথে সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে দূরে চলে যায় এবং আবার হয়তো অনেক বছর পর আসে। সূর্য প্রদক্ষিণের সময় ধূমকেতুর উপাদান উত্তপ্ত হয়ে ধূলিকণার লম্বা লেজের মতো বিস্তৃত হয়। এ সময় কিছু খণ্ড খণ্ড পাথরের টুকরা আকাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে।
সূর্য প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবী যদি এই এলাকার মধ্য দিয়ে যায়, তাহলে পাথুরে টুকরাগুলো মাধ্যাকর্ষণ বলের টানে পৃথিবীর দিকে পড়তে থাকে এবং পৃথবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে। তখন মনে হয় আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ড পড়ছে। একেই আমরা বলি উল্কাবৃষ্টি।
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়েই সাধারণত উল্কাবৃষ্টি হয়। কারণ, একটি নির্দিষ্ট ধূমকেতু মহাকাশের যে অঞ্চল অতিক্রমের সময় পাথুরে কণা আকাশে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে রেখে যায়, শুধু ওই অঞ্চল অতিক্রমের সময় পৃথিবীতে আমরা উল্কাবৃষ্টি দেখি। পৃথিবী তার কক্ষপথ অতিক্রমের সময় বছরে একবার করেই একটি নির্দিষ্ট এলাকা অতিক্রম করে।
উল্কাবৃষ্টি কখনো কম, কখনো বেশি হতে দেখা যায়। কারণ, এর তীব্রতা নির্ভর করে আকাশে কোনো ধুমকেতুর ফেলে যাওয়া পাথুরে টুকরার পরিমাণের ওপর। সাধারণত কোনো ধূমকেতু সূর্য প্রদক্ষিণের কিছু সময় পর যদি পৃথিবী তার কক্ষপথে ওই এলাকায় এসে পড়ে, তাহলে তুমুল উল্কাপাত দেখা যায়। কারণ তখন আকাশে পাথুরে কণা বেশি থাকে। এর পরের বছর ওই একই সময় কিছুটা কম উল্কাপাত দেখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।