জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের আত্মীয়স্বজনদের জীবন উল্টো পথে চলছে। আয়েশি জীবন এখন তাদের কাছে কারাগারের মতো হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ আত্মগোপনে আছেন। ঈদের পর থেকে তিনি উপজেলা পরিষদের অফিসে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। নেই বসুন্ধরার বাসায়। কোথায় আছেন, তা তার ঘনিষ্ঠজনরাও বলতে পারছেন না। প্রথম পক্ষের ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানও পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন না। বন্ধুবান্ধব কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। এমনকি লায়লা কানিজ, কাইয়ুমসহ পরিবারের অন্যরা ঈদের দুইদিন পর পর্যন্ত যেসব মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতেন, সেগুলো এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, কৌশল হিসাবে তারা নতুন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন।
পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, যাকে নিয়ে এই ছাগলকাণ্ড, সেই ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত দুই দফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তার মা শাম্মী আখতার আছেন প্রচণ্ড চাপে। একদিকে ইফাত মানসিক যন্ত্রণার কথা বলে স্ত্রীকে মালয়েশিয়া উড়িয়ে নিতে তাকে চাপ দিচ্ছেন, অন্যদিকে মতিউরের বোন তাকে ফোন করে ডিভোর্স লেটার পাঠাতে হুমকি দিচ্ছেন। ইফাতের আরেক বোন মাধবী ঢাকার একটি এলাকায় এখন ঘরবন্দি। মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হয়েও সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ক্লাসে যাচ্ছেন না।
এছাড়া মতিউরের ভাইয়েরাও আত্মগোপনে আছেন। তার ছোটো ভাই এম কাইয়ুম হাওলাদার টঙ্গীর এসকে ট্রিম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে কারখানায় যাচ্ছেন না। থাকছেন না বাড়িতেও। আরেক ভাই নূরুল হুদাও প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন না। যারা বিভিন্ন সময় মতিউর রহমানের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন, সেই শুভাকাঙ্ক্ষীরাও নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছেন। এর মধ্যে অনেক গণমাধ্যমকর্মীও আছেন, যারা তার কাছ থেকে ব্যাপক সুবিধা নিয়েছেন, তাদের কেউ কেউ এখন উলটো মতিউর পরিবারের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছেন।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।