জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করোনা সন্দেহে ফেলে রেখে যাওয়া সেই বৃদ্ধ মোঃ সোবাহান আলী (৮০) হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (গতকাল শুক্রবার দিন পেরিয়ে রাত দেড়টার দিকে) আজ শনিবার রাত দেড় টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সুএে জানা যায়।
এদিকে আজ শনিবার সকালে সোবাহান আলীর মরদেহ নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমক এলাকায় দাফনে নিয়ে যাওয়া হলে বাধার মুখে সেখানে তাকে দাফন করা যায়নি। অবশেষে উল্লাপাড়ার কয়ড়া ইউনিয়নের মানিকদহ গ্রামের কবরস্থানে বিকেল তিনটার দিকে সোবাহান আলীকে দাফন করা হয়েছে। উল্লাপাড়া মডেল থানার এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লাপাড়ার মানিকদহ গ্রামের সোবাহান আলী গত পাচ দিন হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত সোমবার রাতে সোবাহান আলীর করোনা সন্দেহে তার ছেলে নজরুল ইসলাম স্থানীয় শ্যামলীপাড়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ফেলে রেখে যায়। মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার দাস তা জেনে মধ্যরাতে সোবাহান আলীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সেখানে তার চিকিৎসা সেবা চলছিলো।এদিকে মডেল থানা পুলিশ পিতাকে এভাবে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় ছেলে নজরুল ইসলামকে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার তেমক বাজার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার আটক করে আনে।সে পিতাকে এভাবে ফেলে রেখে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুশোচনা ও তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পিতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।পরে তাকে আটক থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সোবাহান আলীর মরদেহ ছেলে নজরুল ইসলাম শনিবার সকালে তেমন এলাকায় দাফনে নিয়ে গেলে এলাকার লোকজন এতে বাধা দেয়।পরে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।অবশেষে সোবাহান আলীর মরদেহ মানিকদহ গ্রামে আনা হয় এবং জানাযা নামাজ শেষে বিকেল তিনটার দিকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ জানাযা ও দাফনে মডেল থানার এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন , কয়ড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে|
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।