আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঋণের বোঝায় ডুবছে পাকিস্তান। গত তিন বছরে অর্থাৎ ইমরান সরকারের আমলে দেশটিতে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১৪৯ ট্রিলিয়ন টাকা। মোট পাক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৯ ট্রিলিয়ন টাকা। ইমরানের তেহরিক-ই-ইনসাফের তিন বছরের শাসনকালেই তা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।
‘স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান’ তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এমন তথ্যই জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান মসনদে বসার পর থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। করোনাকালে মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ পাক জনতার। যত সময় গিয়েছে ততই করুণ অবস্থা আরও বেড়েছে পাকিস্তানের। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে স্টেট ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে। দেখা যাচ্ছে আগের পাক সরকার ১০ বছর সময়ে যত ঋণ নিয়েছিল তার ৮০ শতাংশই এই তিন বছরে নিয়ে ফেলেছে ইমরান সরকার।
এদিকে পাকিস্তানের জনঋণ গত ১১ মাসে ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে গত জুলাইয়ে জানা গিয়েছিল। জুন মাসে শেষ হয়েছে পাকিস্তানের অর্থবর্ষ। তারপরই ওই পরিসংখ্যান সামনে আসে। সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবারের বাজেটে অন্তত ৭ থেকে ৭.৫ শতাংশ ঘাটতি থাকবে। আগামী দিনেও পরিস্থিতি শুধরানোর কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
ক্রমশই পাকিস্তানে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ইমরান খান। সমীক্ষা অনুযায়ী, ইমরানের দেশের সব প্রদেশেই তীব্র সংকটে অর্থনীতি। যে চারটি কারণকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে, তার মধ্যে একেবারে শীর্ষেই রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। ঋণের দায়ে ডুবে থাকার ফলে মুদ্রাস্ফীতিকে মোকাবিলা করাও সম্ভব হচ্ছে না।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার হাল ফেরানোর প্রতিশ্রুতিই ছিল ইমরানের ক্ষমতায় আসার অন্যতম তুরুপের তাস। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। বারবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সেটা বেশ কঠিন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।