জুমবাংলা ডেস্ক: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত হয় ৩৫টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুল। এসব স্কুলে কর্মজীবী তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশের মতো এ উপজেলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন এসব শিক্ষক। অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী ঋণ করে সংসার চালাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলায় প্রায় ৩৫টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলে প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি করেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে চরম হতাশায় পড়েন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রায় ছয় মাস ধরে প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় ঋণের বোঝা বাড়ছে তাঁদের। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।
এন এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের পরিচালক শামীম আকতার আমিন বলেন, সরকারি যাবতীয় কার্যক্রমের সঙ্গে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা জড়িত। বৈশ্বিক এ মহামারির কবলে পড়ে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক শ শিক্ষক-কর্মচারী। বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বেতন পরিশোধ না করায় স্কুল মালিকরা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছেন না। যার ফলে এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বিষয়ে সরকারের আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।
এম এ মডেল ইংলিশ ভার্সন স্কুলের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, এমন দুর্দিনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খোলার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।