বিনোদন ডেস্ক : মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ৬৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। তার মৃত্যু ঋতুপর্ণা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘বাপ্পীদা নেই, আমি ভাবতেই পারছি না। কিছু বলার মত অবস্থায় নেই। শুধু এটুকুই বলতে পারি যে আমাদের সঙ্গীত জগত একেবারে শূন্য হয়ে গেল। এত স্নেহ, আদর, এত ভালোবাসা আমি জানি না কেউ দিতে পারে কিনা। বাপ্পীদা আমার পরিবারের একজন। পরম আত্মীয় চলে গেল আমাদের। কিছুদিন আগে আমাকে নিজে ডেকে বলল, তোকে গান গাইতেই হবে। তুই আয়। আমি নিজে রেকর্ড করব তোর সাথে। আমি বললাম, বাপ্পীদা আমি পারব না। বললেন, না তুই পারবি। তুই আয়। আমাকে গানের লিরিকস একটা একটা করে বোঝালেন। আমাকে শোনালেন।
আমি বললাম যে, আমি পারব না বাপ্পীদা। না, তুই পারবি, তুই কর। ছোটবেলা থেকে বাপ্পীদাকে জানি, চিনি। বাপ্পীদার পরিবারের সঙ্গে আমাদের ভীষণ সখ্যতা। আমার পরিবারের এক দাদা চলে গেল।’
বাপ্পী লাহিড়ীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটও করেছেন ঋতুপর্ণা। একটি ছবি শেয়ার করে ঋতুপর্ণা লিখেছেন, ‘বড় ভাইকে হারালাম। তোমার মত একজন গাইড পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমার মন ভেঙেচুরে গিয়েছে। আমি আমার পরিবারের একজনকে হারালাম। সারা পৃথিবীর কাছে তুমি অনুপ্রেরণা। তুমি বিশ্বাস, সাহস ও শক্তির প্রতিমূর্তি। তোমাকে কখনও ভুলব না। বাপ্পীদা তুমি সবসময় আমাদের সঙ্গে থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পী লাহিড়ী। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালোবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান।
২০২০ সালে তার শেষ গান ছিল ‘বাগি-৩’র জন্য। কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’জনেই সংগীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পী ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা-বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।