এক গবেষণায় দেখা গেছে, যন্ত্রের সঙ্গে নম্র আচরণ শুধু শিষ্টাচারই নয়, এতে এআইয়ের কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়। গবেষণাটিতে ইংরেজি, চীনা ও জাপানি ভাষায় এআইয়ের ওপর গবেষণা চালানো হয়। তাতে দেখা গেছে, অভদ্র ভাষায় যদি এআইয়ের প্রম্পট বা নির্দেশনা দেওয়া হয়, তাহলে এআইয়ের কার্যক্রম দুর্বল হয়ে যায়। ভুল ও পক্ষপাতমূলক তথ্যের পরিমাণ বাড়ে, অনেক জরুরি তথ্য বাদ পড়ে যায়।
গবেষকেরা সারাংশ লেখা, ভাষা বুঝতে পারা ইত্যাদি মানদণ্ডে এআইগুলো পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষাগুলো করার সময় তাঁরা অতি ভদ্র থেকে শুরু করে অভদ্রসহ বিভিন্ন ধরনের প্রম্পট ব্যবহার করেছেন। মজার ব্যপার হলো, ভদ্র ভাষায় দেওয়া প্রম্পটগুলোর ফলাফল অভদ্র ভাষায় দেওয়া প্রম্পটগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ভালো ছিল। অভদ্র ভাষায় প্রম্পট দেওয়ার কারণে কিছু কিছু এআই মডেলের কার্যক্রম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেতে দেখা গেছে।
গবেষণাটি আরও প্রকাশ করেছে, এআই মডেলগুলো সংস্কৃতি অনুযায়ী সূক্ষ্ণভাবে ভদ্র আচরণের প্রতি সাড়া দেয়। এ থেকে বোঝা যায় যে মানুষে মানুষে আলাপ-আলোচনার মতোই এআইয়ের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডিজিটাল শিষ্টাচারের বিষয়টি আদতে বিজ্ঞানসমর্থিত। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই সিস্টেমগুলোর সঙ্গে ভদ্র আচরণ করার মাধ্যমে আমরা দুইভাবে লাভবান হতে পারি। এআইয়ের সঙ্গে নম্র আচরণ করলে এআইয়ের আউটপুটের উন্নতি হয়। শুধু তা–ই নয়, যন্ত্রের প্রতি নম্র আচরণের মাধ্যমে আমাদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আরও উন্নত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।