বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অগ্রগতি যখন প্রতিদিন আমাদের জীবনকে বদলে দিচ্ছে, তখন দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ শিখো নতুন একটি দিগন্তে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পূর্বে ঘোষিত একটি স্ট্রাটেজিক বিনিয়োগের ফলে শিখো তার কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হবে। এই নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে, যা বিশেষভাবে বাংলা ভাষায় শিক্ষাকে নতুন সূচনা দেবে।
শিখোর নতুন বিনিয়োগ: শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা
শিখো সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, নতুন এই বিনিয়োগের পর তাদের মোট বিনিয়োগ ৮ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পৌঁছেছে। এই তহবিল স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এসেছে, যেখানে স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শীষ হায়দার চৌধুরী এবং শিখোর প্রতিষ্ঠাতা শাহির চৌধুরী একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। শিখোর উদ্দেশ্য হলো দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অধিকতর গুণগত পরিবর্তন আনয়ন করা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে विद्यार्थীদের নতুন রূপে শিক্ষার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা।
Table of Contents
নতুন এই বিনিয়োগের কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আধুনিক শিক্ষায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তৈরি হবে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষাকে আরো উন্নত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা শিখোর জন্য এক নয়া আশা।
শিক্ষার দুনিয়ায় শিখোর উদ্যোগ
শিখো ইতোমধ্যে এর এআই-চালিত, কারিকুলামভিত্তিক কনটেন্ট এবং মোবাইল-ফার্স্ট লার্নিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এ পর্যন্ত তারা বহু শিক্ষার্থীর জন্য অ্যানিমেটেড পাঠ্যবই তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা বিশেষভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কার্যকর। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ফলে এই স্টার্টআপ ইতিমধ্যেই অনেক ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে।
শিখোর সিইও শাহির চৌধুরী জানান, “সরকারের এই সহযোগিতা আমাদের জন্য বিশেষ একটি স্বীকৃতি। আমরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার জগতে একটি নতুন পরিবর্তন আনতে চাই।”
আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী লক্ষ করেন, “শিখোর কার্যক্রম আমাদের ডিজিটাল শিক্ষা কৌশলের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা স্থানীয় উদ্ভাবকদের সঙ্গে কাজ করে ভবিষ্যতে আরও উন্নত শিক্ষার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।”
বৈশ্বিক অবস্থান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা
বর্তমানে শিখোর কাজের দিকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার বাস্তবায়নের জন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, আন্তর্জাতিকভাবে প্রযুক্তির মধ্যে প্রতিযোগী হতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
শিখো’র নতুন এ উদ্যোগটি শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এই স্টার্টআপ বেসরকারি ও সরকারি উদ্যোগের সংমিশ্রণে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ যা আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক।
সামগ্রিক সারসংক্ষেপ:
১. শিখো নতুন কৌশলগত বিনিয়োগ পেয়েছে।
২. ৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংযুক্ত হয়েছে।
৩. শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে শিখো নেতৃস্থানীয়।
৪. সরকারের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
FAQs
শিখো কি ধরনের কনটেন্ট প্রদান করছে?
শিখো মূলত বাংলা ভাষায় এআই-চালিত, কারিকুলামভিত্তিক কনটেন্ট প্রদান করছে, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য গবেষণার ভিত্তিতে তৈরি।
এই বিনিয়োগের মাধ্যমে কী লক্ষ্য করা হচ্ছে?
বিনিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার, মানের উন্নতি এবং ডিজিটাল শিক্ষায় নতুন উদ্ভাবনগুলোর বাস্তবায়ন করা হবে।
শিখোর প্রতিষ্ঠাতা কে?
শিখোর প্রতিষ্ঠাতা হলেন শাহির চৌধুরী, যিনি শিক্ষায় প্রযুক্তির প্রয়োগের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
AI শিক্ষার উপকারিতা কি?
AI শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষা সুবিধা, দ্রুত প্রতিক্রিয়া, এবং শিক্ষার্থী কার্যকরভাবে উন্নয়ন সম্ভব হয়, যা ঐতিহ্যগত শিক্ষার তুলনায় অধিক কার্যকর।
শিখোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
শিখোর পরিকল্পনা দেশের সাধারণ মানুষকে প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদান করা এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।