যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর নিজ বাসায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সাবেক গবেষক ২৬ বছর বয়সী সুচির বালাজির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোর চিফ মেডিকেল এক্সামিনারের কার্যালয় জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বালাজি গত অক্টোবরে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তোলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে চার বছর কাজ করার পর তিনি এর প্রযুক্তি সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে মনে করে পদত্যাগ করেন।
সান ফ্রান্সিসকোর মেডিকেল এক্সামিনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মৃতের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এ বিষয়ে আমাদের আর কোনো মন্তব্য নেই। গত ২৬ নভেম্বর সান ফ্রান্সিসকোর লোয়ার হেইট এলাকার বুকোনান স্ট্রিটে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বালাজির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও মেডিকেল দল তাঁর খোঁজে সেখানে পৌঁছে তাঁকে মৃত অবস্থায় পান। প্রাথমিক তদন্তে কোনো অপরাধমূলক তৎপরতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
ওপেনএআই এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই দুঃসংবাদে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই কঠিন সময়ে সুচিরের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা রইল। গত অক্টোবরে এক এক্স বার্তায় বালাজি ওপেনএআইয়ের কার্যক্রম নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “আমি ওপেনএআইতে প্রায় চার বছর কাজ করেছি এবং শেষ দেড় বছর চ্যাটজিপিটির উন্নয়ন প্রকল্পে যুক্ত ছিলাম। জেনারেটিভ এআই পণ্যের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘনের মামলাগুলো দেখে আমি কৌতূহলী হয়ে বিষয়টি গভীরভাবে বুঝতে চেষ্টা করি। পরে আমি উপলব্ধি করি যে অনেক এআই পণ্যের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউজ যুক্তি টিকিয়ে রাখা কঠিন। কারণ, এগুলো প্রশিক্ষণ ডেটা থেকে প্রতিযোগী তৈরি করে।”’
সুচির বালাজি তাঁর কর্মজীবনের শুরুর দিকে ওপেনএআইয়ের ওয়েবজিপিটি প্রকল্পে কাজ করেন। পরে তিনি জিপিটি-৪-এর প্রি-ট্রেনিং এবং চ্যাটজিপিটির পোস্ট-ট্রেনিং দলের সঙ্গে কাজ করেন। বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বালাজি তাঁর শিক্ষাজীবনে ওপেনএআই ও স্কেল এআইতে ইন্টার্নশিপ করেন। তাঁর অকালমৃত্যুতে এআই খাতের অনেক সহকর্মী ও বিশেষজ্ঞ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।