বিনোদন ডেস্ক : তাঁরা সবাই জনপ্রিয় তারকা। তার পরও তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চায় না বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা! কিন্তু কেন? এমন কয়েকজন হলিউড তারকাকে নিয়ে এই লেখা
লিন্ডসে লোহান
লিন্ডসে লোহান এখন কোনো ছবি করছেন না। কারণ তাঁকে কোনো প্রযোজকই কাজ দিতে চান না। তিনি নাকি ‘জর্জিয়া রুল’ ছবিটির সেটে প্রায় প্রতিদিনই দেরি করে আসতেন! স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সংলাপ বলতেও তাঁর সংগ্রাম ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও বা বলতেন, লাইন ঠিক রাখতে পারতেন না। ফলে তাঁকে ছবিতে নিলে অসুবিধাই বেশি। লোহানের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর ‘ক্যানিয়ন্স’ ছবির সহকর্মী জেমস ডিনের মত, ‘সে একটা বাচ্চার মতো, যে সেটে এসে সবাইকে তটস্থ রাখে। ছবির চেয়ে তার দিকেই খেয়াল রাখতে হয়।’
জেনিফার লোপেজ
এই গায়িকা-অভিনেত্রী ছবির সেটে যাওয়ার আগে থেকেই প্রযোজকদের ভোগাতে থাকেন। শুটিংয়ে আসার আগেই তাঁর আবদারের লম্বা তালিকা পূরণ করতে হয়। তা না হলে তিনি এমন আচরণ করেন যে তাঁকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রযোজকরা পারতপক্ষে লোপেজকে নিতে চান না।
ক্যাথেরিন হেইগল
হলিউডে যত ঝামেলাময় তারকা আছেন তাঁদের মধ্য ক্যাথেরিন হেইগল অন্যতম। টেলিভিশনের টিভি সিরিজ হোক কিংবা বড় পর্দা—সবখানেই ‘এটা দরকার, ওটা দরকার’ বলে মাথা খারাপ করে রাখেন। শুটিং সেটের অন্যান্য সহশিল্পীর সঙ্গে তাঁর আচরণ খুব শীতল। তাঁর আরেকটি বদ-অভ্যাস নিজের অভিনীত আগের ছবিগুলোর বদনাম করে বেড়ানো। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। এখন তাঁকে পর্দায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
গিনেথ প্যালট্রো
সহকর্মীদের সঙ্গে তিনি মোটেও বন্ধুসুলভ নন। ‘আয়রনম্যান টু’ ছবির শুটিংয়ে সহশিল্পী স্কারলেট জোহানসনের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। যদিও স্কারলেটের সঙ্গে তাঁর কোনো পূর্বশত্রুতার ইতিহাস জানা যায় না। সেবারই শেষ নয়, এর আগে-পরেও একই কাণ্ড করেছেন, যা নিয়ে মিডিয়ায় নানা গুজব রটে প্রতিবারই। তাই গিনেথ প্যালট্রোকে ছবিতে নেওয়ার ‘ঝুঁকি’ নিতে চান না কেউই।
শ্যারন স্টোন
একসময়ের হলিউড কাঁপানো এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগটা একটু অন্য রকম—চরিত্র নির্বাচনের ব্যাপারে একটু বেশিই খুঁতখুঁতে তিনি। নতুন কোনো প্রস্তাব পেলে সেটা নিয়ে এত বাছবিচার করেন যে প্রযোজকরা ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ফলে ধীরে ধীরে তাঁর কাছে প্রস্তাব আসা কমতে থাকে।
ক্রিশ্চিয়ান বেল
সিরিয়াস অভিনেতা হিসেবে তাঁর ভালোই নামডাক। তবে বেশি সিরিয়াস হওয়ার কারণেই কি না, নিজের অভিনীত একটি দৃশ্য ছেঁটে ফেলায় বেজায় চটেছিলেন। ঘটনাটি ‘টার্মিনেটর স্যালভেশন’ ছবির। সেখানে ধারণ করা এক অডিও টেপে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি আমার দৃশ্য কেটে দিয়েছ। এমন কাজ আরেকবার করার পরও যদি দেখি তুমি চাকরিতে বহাল আছ, তাহলে আমি আর শুটিংয়ে আসছি না।’ চলচ্চিত্রে সম্পাদনার ফলে অনেক দৃশ্যই কাটছাঁট হয়। কিন্তু তা নিয়ে এতটা সংবেদনশীল বলে বেলের সঙ্গে কাজ করতে অনেকেই আগ্রহ বোধ করেন না।
ম্যাডোনা
বড় গায়িকা বলেই হয়তো তিনি কারো নির্দেশনাই মানতে রাজি নন। কিন্তু হলিউডে ছবির পরিচালকের নির্দেশনা না মানতে পারাটাই অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা। এ জন্যই অভিনয়ে সম্ভাবনা থাকার পরও বেশি ছবি করতে পারেননি তিনি।
রাসেল ক্রো
এই অভিনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁর মেজাজ বড্ড গরম! পান থেকে চুন খসলেই চটে যান। তিনি সেটে থাকলে নাকি পরিবেশটাই ‘বাজে’ হয়ে যায়। তাই ক্রো ছবিতে আছেন শুনলেই সহশিল্পীরা আঁতকে ওঠেন।
টম ক্রুজ
তাঁর কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাব নিয়েই যত সব সমস্যা। আরেক ঝামেলা পারিশ্রমিক। বিশাল অঙ্কের পারিশ্রমিক দাবি করার কারণে হলিউডের বড় বড় প্রযোজকও তাঁদের ছবিতে ক্রুজকে নিতে ভয় পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।