সরকার দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পতন ঘটেছে। এই পতনের কারণ হলো— দেশে কোনও প্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই, যে কারণে আজকে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এমন প্রসার লাভ করেছে যে, সরকার তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ এখন আর নেই। সেটার প্রমাণ আমরা গত দুই সপ্তাহে পেয়েছি। শামীম, খালেদ আর সম্রাট— এরা মাত্র তিনটি নাম। আরও শত শত নাম আছে এবং শত শত মানুষ আছে যুবলীগ করে, যারা চাঁদাবাজি করে, ক্যাসিনো চালায় এবং জুয়ার আসর বসায়। এরা কারা? তারাতো এই দলেরই নেতা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানী সভাপতি ও সেক্রেটারি হয়ে যে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছিলেন, তা শুধু শোভন রাব্বানী নয়, এই দলের মধ্যে অনেক শোভন-রাব্বানী রয়েছে। একজন ছাত্রনেতা ৮৬ কোটি টাকা দুর্নীতি করতে পারে, এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। ছাত্রনেতা এত টাকা চাঁদাবাজি করবে এটা তো কল্পনার বাইরে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ দুর্নীতি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। নিজেদের দলের মধ্যেতো আছেই, এমন কী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ উপাচার্য দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। ১১টি পাবলিক ইউনিভার্সিটির মধ্যে তিন জন উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। উপাচার্য একজন সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু তারাও আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছেন। একইসঙ্গে আদালতের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।’
সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মওদুদ বলেন, ‘অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। যে নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব সরকার গঠিত হলেই এই নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, জুয়ারি, ক্যাসিনো দূর হবে।’
মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।