তাজনুর ইসলাম : মাত্রই উঠেছে আমন ধান। সপ্তাহ দুয়েক পেরোতে না পেরোতেই আবার শুরু হয়েছে আবাদ। কোনো জমিতে আলু, কোনো জমিতে ভুট্টা, কোনোটিতে অন্য কোনো সবজি। অনেক আগে থেকেই একাধিক ফসল উৎপাদনের এ চর্চা করছেন নীলফামারী জেলার কৃষকরা।
উত্তরের কৃষকের কাছে একই জমিতে একসঙ্গে একাধিক ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে বছরে চারটি পর্যন্ত ফসল চাষ করতে পারছেন তারা। কোনো জমি অনাবাদী থাকবে না, এটিই যেনো তাদের সংকল্প। বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের শঙ্কার মধ্যে এখন যেন আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এই রীতি।
কৃষকরা জানিয়েছেন, অধিক ফসল উৎপাদন করা গেলে নিজেদের পাশাপাশি লাভবান হবে সারাদেশ। দেশের যেসব অঞ্চলে উঁচু জমি রয়েছে সেসব জমিতে আরও বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব বলে মনে করেন প্রান্তিক এ কৃষকরা।
কৃষি অফিস বলছে, একইসাথে ফসলের ধারণা তারা কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যাতে করে একই ক্যালেণ্ডারে চারটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রফিক বলেন, এক জমিতে দুই ফসল হচ্ছে। তাতে সময়টা অনেকটা কমে আসতেছে। ফলে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। খরচও সাশ্রয় হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, বিজ্ঞানসম্মত কৃষির পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার ব্যাপারেও কৃষকদের সচেতন করছেন তারা। সূত্র : যমুনা টেলিভিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।