জুমবাংলা ডেস্ক : আমদানি, রপ্তানি, রেমিটেন্স ও নগদ কেনাবেচায় বিদেশি মুদ্রার একাধিক বিনিময় হারকে একটিতে নামিয়ে আনা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক; আগামী জুনের মধ্যে তা বাস্তবায়নের ঘোষণাও এসেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে একক বিনিময় হার নির্ধারণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার ‘একক রেট’ নির্ধারণের বিষয়ে ব্যাখ্যাও দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সমাপনী বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি জানান, একক হার মানে এই নয় যে সবক্ষেত্রে অর্থাৎ আমদানি, রপ্তানি, রেমিটেন্স ও নগদ কেনাবেচায় একটি বিনিময় হার হবে। তবে প্রতিটি দরের সঙ্গে আরেকটির পার্থক্য হবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।
তার ভাষ্য, “২ শতাংশ ব্যান্ডের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার দর নির্ধারণ করা হবে।’’
আগামী মুদ্রানীতিতে বিনিময় হার নির্ধারণের পদ্ধতি এবং তা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত থাকবে বলেও জানান মেজবাউল হক।
একক বিনিময় হার এবং বাজারের উপর ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার দর নির্ধারণ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদরা।
বৈশ্বিক যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে ২০২২ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে থাকায় ডলারের বিপরীতে টাকা মান পড়তে থাকলে বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই বছরের ৩০ জুন এ সিদ্ধান্তের পর গত সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে।
সর্বপ্রথম বিনিময় হার নির্ধারনের সময় সংগঠন দুটি জানিয়েছিল, রপ্তানি ও রেমিটেন্স আয়ের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে রেমিটেন্স ও রপ্তানির বিনিময় হারের গড় করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ গড় হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ টাকা বেশি নিতে পারবে; অর্থাৎ স্প্রেড সীমা হবে ১ টাকা। প্রতি পাঁচ কার্যদিবস পরপর এ বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
সেসময় রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা করে নির্ধারণ করা হলেও পরে গত এপ্রিল পর্যন্ত তা ১০৭ টাকা করা হয়েছিল। চলতি মাস থেকে পুনরায় তা ১০৮ টাকা করা হয়েছে।
অপরদিকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা করা হয়েছিল, যা পরে বাড়াতে বাড়াতে চলতি মাসে সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স এর মধ্যে পার্থক্য অন্তত দুই টাকা নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম।
অন্যদিকে খোলাবাজারে রোববার ডলারের বিনিময় হার ১১০ থেকে ১১১ টাকা এবং সোনালী ব্যাংকে নগদ বিক্রি হয় ১০৮ টাকা ৫০ পয়সায়।
আন্তঃব্যাংকে ডলারের এ বিনিময় হার ছিল ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা। চাহিদার বিপরীতে সর্বশেষে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল। সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।