জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিবেশীর ছাগল দীর্ঘদিন যাবৎ আজিজুর রহমান খানের (৩৫) খেতের সবজি নষ্ট করছিল। বিষয়টি একাধিকবার ছাগল মালিককে জানিয়েও কোন ফল পায়নি আজিজুর। অবশেষে রাগে ক্ষোভে সেই ছাগল জবাই করে তার মাংস খেয়ে নিলেন সবজি খেতের মালিক আজিজুরসহ তার কয়েকজন বন্ধু।
আর সেই ঘটনার সূত্র ধরে ছাগল মালিক আজহারের ছেলে মোস্তফার (২৪) নেতৃত্বে তার পরিবারের লোক আজিজুরকে বেদরক মারধর করে। ঘটনাটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে ঘটেছে। পরে গুরুতর রক্তাক্ত আজিজুরকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে মোস্তফাকে প্রধান করে ৬ জনের নামে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক। তিনি জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আসামি সবাই পলাতক রয়েছে, তবে তাদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে থানা পুলিশ কাজ করছে। নিহত আজিজুর রহমান খান কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামের মৃত আবুল হাশেম খানের ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহমানকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার পর তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হামলাকারী ৬ জনসহ জড়িত বেশ কয়েকজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সকলেই পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।