জুমবাংলা ডেস্ক : ঘুড়ির সুতোয় আটকে গিয়ে গাছে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝুলছিল একটি কাক। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে কাকটিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
বুধবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার সড়ক ডিভাইডারের একটি গাছ থেকে কাকটিকে উদ্ধার করা হয়। এতে প্রাণে বেঁচে যায় কাকটি।
কাকটিকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসে ফোন করেছিলেন উজ্জ্বল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি ওষুধের দোকানের কর্মী তিনি।
উজ্জ্বল জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তিনি কাকটিকে গাছের ডালে ঝুলতে দেখেন। এরপর আর খেয়াল করেননি। পরে বুধবার সকালে দোকানে এসে তিনি কাকটিকে আগের দিনের মতোই ঝুলতে দেখেন। এরপর খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে।
উজ্জ্বল বলেন, একটা পাখি সারাদিন-সারারাত গাছের ডালে ঝুলছিল। তার কষ্ট হচ্ছিল। এটা দেখেই আমি ফায়ার সার্ভিসে ফোন করি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি গাড়ি ও মই নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এই উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের স্টেশন অফিসার লতিফুল বারী নিজেই যান। তিনি জানান, গাছের ডালে আটকে ছিল একটি ঘুড়ি। সেই ঘুড়ির সুতোয় আটকা পড়েছিল কাকটি। তাদের কর্মীরা মই নিয়ে গাছে উঠে সুতোটি কেটে দেন। তখন কাকটা ওড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু অসুস্থ থাকার কারণে খুব বেশি উড়তে পারেনি। মাটিতে এসে নামে সেটি। তখন কাকটিকে উদ্ধার করে উজ্জ্বলের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
উজ্জ্বল জানান, তার দেখার পর থেকে কাকটি প্রায় ২৪ ঘণ্টা উল্টো হয়ে ঝুলেছিল। তাই এই মুহূর্তে উড়তে পারছে না। কাকটিকে তিনি একটি গাছের ডালের ওপরে বসিয়ে কেক ও পানি দিয়েছেন। সে খেয়েছে। তিনি নজর রাখছেন। আশা করছেন, কাকটি উড়তে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।