জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরার কলারোয়ার ‘নিউ রাজাবাবু’র সঙ্গে ফ্রি থাকছে আরও একটি ষাঁড়। তিন বছর চার মাস বয়সী বিশাল আকৃতির ষাঁড় ‘নিউ রাজা বাবু’র ওজন ৩০ মণ।
গরুটির মালিক শাহাজান আলী ‘নিউ রাজা বাবু’র দাম হাঁকিয়েছেন ২০ লাখ টাকা! আর ‘নিউ রাজা বাবু’কে যিনি কিনবেন তিনি ফ্রি পাবেন ১৭ মণ ওজনের ‘অফার’ নামে অপর একটি ষাড়!
বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির মালিক উপজেলার কেরেলকাতা ইউনিয়নের বলিয়ানপুর গ্রামের শাহজাহান আলী।
এরই মধ্যে উপজেলার সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ‘নিউ রাজা বাবু’ নামক ষাঁড়টি। ইতিমধ্যে রাজাবাবুকে কিনতে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দাম বলেছেন স্থানীয় এক ক্রেতা।
জানা গেছে, বিশাল আকৃতির ষাড় নিউ রাজাবাবুর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগান দিতে হয় কলা, কমলালেবু, চিড়া, ছোলা, ঘাস, শরবতসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার।
এর জন্য প্রতিদিন ১২’শ থেকে ১৫’শ টাকা ব্যয় হয় খামারি মালিকের। এ ছাড়া খামারে ‘নিউ রাজাবাবু’র সঙ্গে থাকা ‘অফার’ ও ‘বিগবস’ নামে আরও দুটি ষাঁড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রয়েছে সার্বক্ষণিক পশু চিকিৎসক। আর রাতে নিরাপত্তার জন্য থাকে নিবিড় নজরদারি।
খামারি শাহাজান আলী জানান, তার বাড়িতে থাকা নিজস্ব গাভীর প্রজননের মাধ্যমে জন্ম হয়েছে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির। আকৃতি ও দেখতে ভালো হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে ‘ নিউ রাজাবাবু ‘।
বর্তমানে তার বয়স তিন বছর চার মাস। এ বছর কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত পরিচর্যা করে বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৩০ মণ। ‘নিউ রাজাবাবু’কে কিনলে সঙ্গে ফ্রি দেওয়া হবে প্রায় ১৭ মন ওজনের ‘অফার’ নামের একটি ষাঁড়।
শাহজাহান জানান, কয়েকজন ক্রেতা ‘নিউ রাজাবাবু’র দাম বলেছেন ১৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। তবে লালন-পালনে খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান থেকে রক্ষা পেতে ২০ লাখ টাকায় নিউ রাজাবাবু’র সঙ্গে ‘অফার’ নামে আরেকটি ষাড় ফ্রি দিচ্ছেন বলে জানান।
খামারের তত্ত্বাবধায়ক সাইদুর রহমান জানান, এখন বিশাল আকারের এই ষাঁড়টির (নিউ রাজাবাবু) পরিচর্যা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। দিনে তিন থেকে চারবার গোসল করানোসহ দিন-রাত বৈদ্যুতিক পাখা চালাতে হয়।
তিনি জানান, ‘নিউ রাজাবাবু’সহ খামারে মোট তিনটি ষাড় রয়েছে। প্রতিটিকে আলাদা খাদ্য সরবরাহসহ বাড়তি যত্ন করতে হয়।
এ ছাড়া নিয়মিত ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকে ‘নিউ রাজাবাবু’সহ ‘অফার’ ও ‘বিগবস’ নামে অপর দুটি ষাড়। ‘নিউ রাজাবাবু’কে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ টাকার খাদ্য সরবরাহ করতে হয়।
কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার বলেন, ‘তিন বছর চার মাস বয়সী গরুটির আকার ও ওজন পরিমাপ করে দেখা যায়, গরুটির উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, লম্বা ৭ ফুট, বুকের পরিমাণ ৮ ফুট, শিং ৯ ইঞ্চি লম্বা, লেজের দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ১২০০ কেজি অর্থাৎ ৩০ মণ। আমার জানা মতে বিশাল আকার ও ওজনের এই গরুটিই এ বছর ঈদ বাজারে উপজেলার প্রথম।
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি খামার পরিদর্শন করে দেখে এসেছি। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে উপজেলার সব থেকে বড় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটিকে বিক্রি করার জন্য গ্রুপের ছবি ও প্রয়েজনীয় তথ্য অনলাইন বাজারে আপলোড করা হয়েছে।’
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী জেরীন কান্তা জানান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনলাইন ফেসবুক ‘গরুর হাট’ এ কোরবানির ঈদের জন্য প্রায় ৯ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উপজেলায় ২০ লাখ টাকা মুল্যের প্রায় ৩০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির গরুটি অনলাইন বাজারে বিক্রি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। গরুটির মালিক নিজ বাড়ি থেকেই ন্যায্যমূল্যে গরুটি বিক্রি করতে পারেন সে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।